১১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে সহিংস প্রতিরোধ কমিটি

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৯৯ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই সারা দেশের মতো পটুয়াখালীতে সৃষ্ট সহিংসতা এড়াতে প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির নেতৃত্বে এ প্রতিরোধ কমিটি গঠন হয়েছে।

জেলা-উপজেলা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিএনপির নেতৃত্বে প্রতিরোধ কমিটি কাজ করছে বলে জানান জেলা যুবদল নেতা গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লব।

গত কয়েক দিন নিরাপত্তা জটিলতার কারণে জেলা পুলিশ কর্মবিরতি দায়িত্ব পালন করছে। যে কারণে সাধারণ মানুষ জানমাল নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতা এবং আতঙ্কে ভুগছে। জেলা-উপজেলাগুলোতে ঘটছে সহিংসতা ও দুর্বৃত্তায়ন।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য বাহার উদ্দিন, যুবদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা যুবদল দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল-আল নোমান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এইচএম ইয়াকুব, জেলা ছাত্রদল সাবেক সাংগঠনিক গাজী সানী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপর একটি সুবিদাবাদী মহল প্রতিহিংসায় লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে ব্যক্তিগত এবং নানা ইস্যুতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে দেশের সংখ্যালঘু একটি গোষ্ঠী আতঙ্কে রয়েছে। এসব আতঙ্ক রোধ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে প্রতিরোধ করতে জেলা শহর-উপজেলা এবং গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি নিজ খরচে দিনরাত নিরাপত্তার নিশ্চিত করেছে। মন্দিরগুলোতে নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া অব্যাহত রেখেছি। যার ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীতে এখন পর্যন্ত কোনো সংখ্যালঘুদের ধর্মশালায় কোনো সহিংসতা ঘটেনি।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার স্বৈরশাসনে সাধারণ মানুষ অবরুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ ছিল। ফলে চলমান পরিস্থিতিতে খানিকটা বিশৃঙ্খলা এবং সংকট দেখা দিয়েছে। এসব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে মানুষের জানমাল নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছি। তাছাড়া পটুয়াখালীতে আমরা সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। ভবিষ্যতেও এ সম্প্রীতি বজায় থাকবে।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

পটুয়াখালীতে সহিংস প্রতিরোধ কমিটি

আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই সারা দেশের মতো পটুয়াখালীতে সৃষ্ট সহিংসতা এড়াতে প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির নেতৃত্বে এ প্রতিরোধ কমিটি গঠন হয়েছে।

জেলা-উপজেলা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিএনপির নেতৃত্বে প্রতিরোধ কমিটি কাজ করছে বলে জানান জেলা যুবদল নেতা গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লব।

গত কয়েক দিন নিরাপত্তা জটিলতার কারণে জেলা পুলিশ কর্মবিরতি দায়িত্ব পালন করছে। যে কারণে সাধারণ মানুষ জানমাল নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতা এবং আতঙ্কে ভুগছে। জেলা-উপজেলাগুলোতে ঘটছে সহিংসতা ও দুর্বৃত্তায়ন।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য বাহার উদ্দিন, যুবদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা যুবদল দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল-আল নোমান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এইচএম ইয়াকুব, জেলা ছাত্রদল সাবেক সাংগঠনিক গাজী সানী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপর একটি সুবিদাবাদী মহল প্রতিহিংসায় লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে ব্যক্তিগত এবং নানা ইস্যুতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে দেশের সংখ্যালঘু একটি গোষ্ঠী আতঙ্কে রয়েছে। এসব আতঙ্ক রোধ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে প্রতিরোধ করতে জেলা শহর-উপজেলা এবং গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি নিজ খরচে দিনরাত নিরাপত্তার নিশ্চিত করেছে। মন্দিরগুলোতে নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া অব্যাহত রেখেছি। যার ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীতে এখন পর্যন্ত কোনো সংখ্যালঘুদের ধর্মশালায় কোনো সহিংসতা ঘটেনি।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার স্বৈরশাসনে সাধারণ মানুষ অবরুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ ছিল। ফলে চলমান পরিস্থিতিতে খানিকটা বিশৃঙ্খলা এবং সংকট দেখা দিয়েছে। এসব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে মানুষের জানমাল নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছি। তাছাড়া পটুয়াখালীতে আমরা সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। ভবিষ্যতেও এ সম্প্রীতি বজায় থাকবে।