০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে বাজারদর মনিটরিংয়ে নেমেছে শিক্ষার্থীরা

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০৪ বার পড়া হয়েছে

ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশের মতো পটুয়াখালীর কলাপাড়াতেও কাজ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন জনজীবন অতিষ্ঠ, তখন বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে নেমেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় তরুণ ও যুব সমাজও।

শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কলাপাড়া পৌর শহরের কাঁচাবাজার, মাছ বাজারে মনিটরিং করতে দেখা যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম, পৌরশহর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি নাজমুল মিয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেহান উদ্দিন রেহানসহ বিভিন্ন স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা পণ্যের গুণগতমান যাচাই এবং ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সেটির তদারকি করতে দেখা গেছে তাদের। এ ছাড়াও প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হয়। যেসব দোকানে কোনো মূল্য তালিকা টানানো নেই সেসব দোকানিকে সতর্ক করছেন তারা। এ ছাড়া যানজট এড়াতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ভোক্তাদের কথা শুনছি। তারা জানিয়েছেন, আগের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে সিন্ডিকেট এবং চাঁদার সংস্কৃতি না থাকায় কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারছেন বিক্রেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কলাপাড়া উপজেলা শাখার সমন্বয়, সাইফ আল রেদওয়ান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন এখন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এই রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তর সমস্যায় জর্জরিত। আমরা এই রাষ্ট্রের সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাব। এর অংশ হিসেবে আজ বাজার মনিটরিং, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, রাস্তার দুপাশের দখল অপসারণ, ট্রাফিক ব্যবস্থার কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ যাতে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।

শিক্ষার্থীদের এসব কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। বাজারে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগটা খুবই ভালো লেগেছে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে ব্যবসায়ীরা অসদুপায় অবলম্বন করতে চাইতো, কিন্তু শিক্ষার্থীদের মনিটরিংয়ের ফলে চাইলেও তারা সেটা করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের অনেক ধন্যবাদ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেন, নতুন করে দেশ সাজানোর কারিগর শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই মনিটরিং,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা এর কাজে আমরা সহযোগিতা করছি। আমাদের উপজেলা প্রশাসকের সকল কাজেও শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা করবে।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

পটুয়াখালীতে বাজারদর মনিটরিংয়ে নেমেছে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশের মতো পটুয়াখালীর কলাপাড়াতেও কাজ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন জনজীবন অতিষ্ঠ, তখন বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে নেমেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় তরুণ ও যুব সমাজও।

শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কলাপাড়া পৌর শহরের কাঁচাবাজার, মাছ বাজারে মনিটরিং করতে দেখা যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম, পৌরশহর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি নাজমুল মিয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেহান উদ্দিন রেহানসহ বিভিন্ন স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা পণ্যের গুণগতমান যাচাই এবং ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সেটির তদারকি করতে দেখা গেছে তাদের। এ ছাড়াও প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হয়। যেসব দোকানে কোনো মূল্য তালিকা টানানো নেই সেসব দোকানিকে সতর্ক করছেন তারা। এ ছাড়া যানজট এড়াতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ভোক্তাদের কথা শুনছি। তারা জানিয়েছেন, আগের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে সিন্ডিকেট এবং চাঁদার সংস্কৃতি না থাকায় কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারছেন বিক্রেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কলাপাড়া উপজেলা শাখার সমন্বয়, সাইফ আল রেদওয়ান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন এখন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এই রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তর সমস্যায় জর্জরিত। আমরা এই রাষ্ট্রের সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাব। এর অংশ হিসেবে আজ বাজার মনিটরিং, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, রাস্তার দুপাশের দখল অপসারণ, ট্রাফিক ব্যবস্থার কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ যাতে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।

শিক্ষার্থীদের এসব কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। বাজারে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগটা খুবই ভালো লেগেছে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে ব্যবসায়ীরা অসদুপায় অবলম্বন করতে চাইতো, কিন্তু শিক্ষার্থীদের মনিটরিংয়ের ফলে চাইলেও তারা সেটা করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের অনেক ধন্যবাদ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেন, নতুন করে দেশ সাজানোর কারিগর শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই মনিটরিং,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা এর কাজে আমরা সহযোগিতা করছি। আমাদের উপজেলা প্রশাসকের সকল কাজেও শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা করবে।