০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে ছাত্রী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীতে বাস চালক ও হেলপার কর্তৃক এক ছাত্রী লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে চৌরাস্তা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বাস চালক ও হেলপারের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে রোববার সন্ধ্যার পর থেকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এর ফলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং অবরোধের ফলে দুই পাশে ঢাকা ও কুয়াকাটাগামী অসংখ্য গাড়ি আটকা পড়ে।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সেনা কর্মকর্তা ও পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন এবং এ ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা এক ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেয়।

পরে জেলা প্রশাসকের দরবার হলে জেলা প্রশাসন, বাস মালিক, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসা হয়। রাত পৌনে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, পটুয়াখালী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী শারমিন আক্তার রোববার সকালে জেলার দুমকী উপজেলার লেবুখালী পায়রা সেতু এলাকা থেকে আবির আব্দুল্লাহ পরিবহনে পটুয়াখালী আসে। শিক্ষার্থী হিসেবে সে হাফ ভাড়া দিতে চাইলে বাসের চালক ও হেলপার তাকে নানা ধরণের অশ্লীল কথাবার্তা বলে। পরে ওই ছাত্রী ফুল ভাড়া পরিশোধ করা সত্যেও তাকে ২০ মিনিট পটুয়াখালী বাস স্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়ে রাখে। এমনকি ওই ছাত্রীকে হুমকি-ধমকিও দেয়।

পরে শারমিন কলেজে গিয়ে সহপাঠীদের জানালে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং বাস চালক ও হেলপারকে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়। বিকেলের দিকে ওই বাসটি কুয়াকাটা থেকে ফিরে বরিশাল যাবার কথা ছিল। কিন্তু অন্য বাস স্টাফদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শহরের চৌরাস্তা মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ার খবর জানতে পেরে বাসটি আসেনি। পরে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. নুরুল আমীন জানান, এ বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের দরবার হলে প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সেনা কর্মকর্তা, বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছে। এখনও আলোচনা চলছে।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন জানান, আলোচনা চলছে। অভিযুক্ত বাস চালক ও হেলপারকে নিয়ে পরিবহন মালিককে সোমবার তাদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

পটুয়াখালীতে ছাত্রী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীতে বাস চালক ও হেলপার কর্তৃক এক ছাত্রী লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে চৌরাস্তা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বাস চালক ও হেলপারের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে রোববার সন্ধ্যার পর থেকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এর ফলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং অবরোধের ফলে দুই পাশে ঢাকা ও কুয়াকাটাগামী অসংখ্য গাড়ি আটকা পড়ে।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সেনা কর্মকর্তা ও পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন এবং এ ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা এক ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেয়।

পরে জেলা প্রশাসকের দরবার হলে জেলা প্রশাসন, বাস মালিক, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসা হয়। রাত পৌনে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, পটুয়াখালী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী শারমিন আক্তার রোববার সকালে জেলার দুমকী উপজেলার লেবুখালী পায়রা সেতু এলাকা থেকে আবির আব্দুল্লাহ পরিবহনে পটুয়াখালী আসে। শিক্ষার্থী হিসেবে সে হাফ ভাড়া দিতে চাইলে বাসের চালক ও হেলপার তাকে নানা ধরণের অশ্লীল কথাবার্তা বলে। পরে ওই ছাত্রী ফুল ভাড়া পরিশোধ করা সত্যেও তাকে ২০ মিনিট পটুয়াখালী বাস স্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়ে রাখে। এমনকি ওই ছাত্রীকে হুমকি-ধমকিও দেয়।

পরে শারমিন কলেজে গিয়ে সহপাঠীদের জানালে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং বাস চালক ও হেলপারকে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়। বিকেলের দিকে ওই বাসটি কুয়াকাটা থেকে ফিরে বরিশাল যাবার কথা ছিল। কিন্তু অন্য বাস স্টাফদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শহরের চৌরাস্তা মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ার খবর জানতে পেরে বাসটি আসেনি। পরে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. নুরুল আমীন জানান, এ বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের দরবার হলে প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সেনা কর্মকর্তা, বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছে। এখনও আলোচনা চলছে।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন জানান, আলোচনা চলছে। অভিযুক্ত বাস চালক ও হেলপারকে নিয়ে পরিবহন মালিককে সোমবার তাদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।