০১:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ : স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:০০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
  • / ২২০ বার পড়া হয়েছে

বরগুনার পাথরঘাটায় অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফয়সাল ও জুবায়ের নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এঘটনার পরে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চরদুয়ানী বাজারের মিনা লাইব্রেরি অ্যান্ড কসমেটিকসের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। পরে পার্শ্ববর্তী কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদেরকে উদ্ধার করেন বলে জানা গেছে।

ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের উত্তর কাঠালতলী গ্রামে।

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার উত্তর কাঠালতলী এলাকার মো: বেল্লাল হোসেনের ছেলে ফয়সাল, চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছহেরাবাদ এলাকার মোশাররফের ছেলে জোবায়ের এবং কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুক চরদুয়ানী এলাকার মনির হোসেনের ছেলে ও লাইব্রেরি ব্যবসায়ী সাকিবুল ইসলাম হৃদয়।

এদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুন সকালে ওই স্কুলছাত্রীকে তার এক বান্ধবী চরদুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে চরদুয়ানী বাজারের মিনা লাইব্রেরিতে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে জোবাযের ও ফয়সাল আগে থেকেই আবস্থান করেছিলেন। স্কুলছাত্রীটিকে ওই লাইব্রেরির পেছনের ছোট একটি রুমে জোবায়েরের কাছে দিয়ে সামনে প্রেমিক ফয়সালের সাথে কথা বলে ওই বান্ধবী। এ সময় জোবায়ের ওই স্কুলছাত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করে ভিডিও করে রাখেন। পরে ফয়সাল গিয়ে পুনরায় তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় স্থানীয়রা লাইব্রেরির মধ্যে ছেলে-মেয়েদের অবস্থান বুঝতে পেড়ে বাহির থেকে ডাকাডাকির এক পর্যায়ে দোকানের সাটার ভাংতে যান। এ সময় ভেতর থেকে চাবি দিলে তালা খুলে ভেতরে ওই স্কুলছাত্রী ও তার বান্ধবী এবং জোবায়ের ও ফয়সালকে দেখতে পান। তখন স্থানীয় কিছু ছেলে মোবাইলে ভিডিও ও ছবি ধারণ করেন। সেখান থেকে ওই স্কুলছাত্রী ও তার বান্ধবী বাড়িতে গেলে ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাবা গালমন্দ করেন। পরে ওই স্কুলছাত্রী তার মায়ের কাছে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে রাখার কথা স্বীকার করে এবং পরের দিন শুক্রবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

মিনা লাইব্রেরি অ্যান্ড কসমেটিকস দোকানের মালিক সাকিবুল ইসলাম হৃদয় সাংবাদিকদের জানান, তিনি দোকানে তালা দিয়ে পাথরঘাটা বাজারে আসেন, এর পরে কি হয়েছে তা তিনি কিছুই জানেন না।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আল মামুন জানান, এক স্কুলছাত্রীর আত্মহ্যার একটি ঘটনা ঘটেছে। পরে ওই ছাত্রীর মা একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ : স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০১:০০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

বরগুনার পাথরঘাটায় অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফয়সাল ও জুবায়ের নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এঘটনার পরে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চরদুয়ানী বাজারের মিনা লাইব্রেরি অ্যান্ড কসমেটিকসের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। পরে পার্শ্ববর্তী কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদেরকে উদ্ধার করেন বলে জানা গেছে।

ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের উত্তর কাঠালতলী গ্রামে।

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার উত্তর কাঠালতলী এলাকার মো: বেল্লাল হোসেনের ছেলে ফয়সাল, চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছহেরাবাদ এলাকার মোশাররফের ছেলে জোবায়ের এবং কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুক চরদুয়ানী এলাকার মনির হোসেনের ছেলে ও লাইব্রেরি ব্যবসায়ী সাকিবুল ইসলাম হৃদয়।

এদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুন সকালে ওই স্কুলছাত্রীকে তার এক বান্ধবী চরদুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে চরদুয়ানী বাজারের মিনা লাইব্রেরিতে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে জোবাযের ও ফয়সাল আগে থেকেই আবস্থান করেছিলেন। স্কুলছাত্রীটিকে ওই লাইব্রেরির পেছনের ছোট একটি রুমে জোবায়েরের কাছে দিয়ে সামনে প্রেমিক ফয়সালের সাথে কথা বলে ওই বান্ধবী। এ সময় জোবায়ের ওই স্কুলছাত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করে ভিডিও করে রাখেন। পরে ফয়সাল গিয়ে পুনরায় তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় স্থানীয়রা লাইব্রেরির মধ্যে ছেলে-মেয়েদের অবস্থান বুঝতে পেড়ে বাহির থেকে ডাকাডাকির এক পর্যায়ে দোকানের সাটার ভাংতে যান। এ সময় ভেতর থেকে চাবি দিলে তালা খুলে ভেতরে ওই স্কুলছাত্রী ও তার বান্ধবী এবং জোবায়ের ও ফয়সালকে দেখতে পান। তখন স্থানীয় কিছু ছেলে মোবাইলে ভিডিও ও ছবি ধারণ করেন। সেখান থেকে ওই স্কুলছাত্রী ও তার বান্ধবী বাড়িতে গেলে ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাবা গালমন্দ করেন। পরে ওই স্কুলছাত্রী তার মায়ের কাছে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে রাখার কথা স্বীকার করে এবং পরের দিন শুক্রবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

মিনা লাইব্রেরি অ্যান্ড কসমেটিকস দোকানের মালিক সাকিবুল ইসলাম হৃদয় সাংবাদিকদের জানান, তিনি দোকানে তালা দিয়ে পাথরঘাটা বাজারে আসেন, এর পরে কি হয়েছে তা তিনি কিছুই জানেন না।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আল মামুন জানান, এক স্কুলছাত্রীর আত্মহ্যার একটি ঘটনা ঘটেছে। পরে ওই ছাত্রীর মা একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।