বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বরিশাল ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিভি) -এর শিক্ষার্থী
দৃষ্টি শক্তি হারানোর শঙ্কায় বরিশালের আসাদুজ্জামান

- আপডেট সময় : ০২:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
- / ৯২ বার পড়া হয়েছে

দৃষ্টি শক্তি হারানোর শঙ্কায় আছেন বরিশাল ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিভি) বিবিএ-এর শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান রায়হান। বর্তমানে তিনি ঢাকার ধানমন্ডি বাংলাদেশ আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে তিনি বরিশালের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনের মতো গত ৪ আগস্টও বরিশাল নগরের সিঅ্যান্ডবি রোড সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন।
একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া অনেকগুলো গুলি আসাদুজ্জামানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্ধ হয়। একটি গুলি আসাদুজ্জামানের চোখের ভেতর বিদ্ধ হয়। যা এখনো বহন করে যন্ত্রণায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন আসাদুজ্জামান।
চিকিৎসক বলেছেন, আসাদুজ্জামানের চোখ রক্ষা করতে হলে তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে হবে। এই মুহূর্তে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে হলে কমপক্ষে সাত লাখ টাকা প্রয়োজন। যা তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।
জানা গেছে, আসাদুজ্জামান বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের শোলনা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং তার বাবা একজন ট্রাকচালক। সংসার চালাতেই নিয়মিত হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। চোখের সামনে সন্তানের এই অসহ্য যন্ত্রণা দেখে নির্বাক অসহায় বাবা আনোয়ার হোসেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য সরকার ও জনগণের একটু সাহায্যের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।
আনোয়ার হোসেনের আকুতি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন তার সন্তানের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করে সুস্থ আসাদুজ্জামানকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন। সমাজের বিত্তবানদেরও তার সন্তানের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।
আহত আসাদুজ্জামানের স্ত্রী অপ্রিম আক্তার বাবনী জানান, ‘ঢাকায় তার (আসাদুজ্জামান) চোখের একটি অপারেশন শেষ হয়েছে, ভবিষ্যতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিতে হবে। যার খরচ বহন করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। এজন্য সরকার ও দেশবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।