০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না এপিবিএন সদস্যরা

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৯১ বার পড়া হয়েছে

১১ দফা দাবি নিয়ে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।

বুধবার (০৭ আগস্ট) বিকেলে নগরের বান্দরোডস্থ ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) লাইন্সের ভেতরে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

এসময় তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করবেন না বলে জানিয়ে বলেন, আমরা প্রত্যেকে স্ব স্ব ইউনিটে আছি, তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করবো না। আমাদের দাবি যতক্ষণ মেনে না নেওয়া হবে, যতক্ষণ রাষ্ট্রের মাধ্যমে আমাদের গ্রহণ না করবে ততক্ষণ সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকবো।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা কোনো দলীয় সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলের অধীনে চাকরি করবো না। আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাদের কারণে জীবন দিয়েছে অর্থাৎ যে সব অফিসার আমাদের কমান্ড দিয়েছে তাদের যৌক্তিক বিচার হোক। যাদের কারণে আজ আমরা নির্যাতিত, যাদের কারণে আজ আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা মৃত্যুবরণ করেছে, যাদের কারণে তাদের লাশ রাস্তায় পড়ে রয়েছে তাদের বিচার চাই। আর এই কাজগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা কখনও করতে পারে না। বরং দায়িত্ব পালনকালে যত জায়গাতে বিপদে পরেছি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের সেভ করেছে। তাহলে আমাদের ওপর কারা এ হামলা করলো এ প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে।

যে শিক্ষার্থী ভাইয়েরা দেশ সংস্কারের জন্য ডাক দিয়েছেন, তারা আমাদের পুলিশের সংস্কারের জন্য এগিয়ে আসুন। জনগণের আস্থা আমরাও আবার ফিরিয়ে আনতে চাই, জনগণ এই পুলিশকে দেখে বুকে জড়িয়ে ধরবে, বিজয় মিছিল করবে।

এসময় লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সদস্যরা ১১ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হল-

১. পুলিশ কোনো সরকারের অধীনে কাজ করবে না রাষ্ট্রপতির অধীনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে দেশ ও জনগণের সেবা করবে।
২. পুলিশ কোনো এমপি, মন্ত্রীকে প্রোটোকল দেবে না।
৩. পুলিশের সর্বোচ্চ সু-চিকিৎসা দ্রুত সময়ে মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
৪. আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পুলিশ ০৮ (আট) ঘণ্টার বেশি ডিউটি করবে না। অতিরিক্ত কর্ম ঘণ্টার জন্য ওভারটাইম দিতে হবে।
৫. পুলিশের সিনিয়র অফিসাররা যেভাবে পদোন্নতি পায়, ঠিক নিম্ন কর্মচারীদের সেভাবে পদোন্নতি দিতে হবে এবং সবার পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।
৬ . অফিসারদের মতো কনস্টেবলদেরও সোর্স মানি দিতে হবে।
৭. পুলিশ সদস্যদের বাৎসরিক ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি বৃদ্ধি করে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ৬০ দিন করতে হবে।
৮. পুলিশের ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে
৯. প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে নিজ নিজ রেঞ্জের মধ্যে বদলি করতে হবে এবং পরবর্তীতে যেন নিজ রেঞ্জের বাহিরে বদলি না হয় সেটার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
১০. পুলিশকে প্রত্যেক মাসের ১০ তারিখের মধ্যে টিএ বিল নিশ্চিত করতে হবে।
১১. বর্তমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সব পুলিশ সদস্য দেশের জন্য শাহাদাৎ বরণ করেছে তাদের সঠিক বিচার, যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং তাদের পরিবার থেকে একজন করে সরকারি চাকরি না দেওয়া পর্যন্ত পুলিশের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হলো।

সংবাদ সম্মেলন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না এপিবিএন সদস্যরা

আপডেট সময় : ০১:৪৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

১১ দফা দাবি নিয়ে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।

বুধবার (০৭ আগস্ট) বিকেলে নগরের বান্দরোডস্থ ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) লাইন্সের ভেতরে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

এসময় তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করবেন না বলে জানিয়ে বলেন, আমরা প্রত্যেকে স্ব স্ব ইউনিটে আছি, তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করবো না। আমাদের দাবি যতক্ষণ মেনে না নেওয়া হবে, যতক্ষণ রাষ্ট্রের মাধ্যমে আমাদের গ্রহণ না করবে ততক্ষণ সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকবো।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা কোনো দলীয় সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলের অধীনে চাকরি করবো না। আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাদের কারণে জীবন দিয়েছে অর্থাৎ যে সব অফিসার আমাদের কমান্ড দিয়েছে তাদের যৌক্তিক বিচার হোক। যাদের কারণে আজ আমরা নির্যাতিত, যাদের কারণে আজ আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা মৃত্যুবরণ করেছে, যাদের কারণে তাদের লাশ রাস্তায় পড়ে রয়েছে তাদের বিচার চাই। আর এই কাজগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা কখনও করতে পারে না। বরং দায়িত্ব পালনকালে যত জায়গাতে বিপদে পরেছি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের সেভ করেছে। তাহলে আমাদের ওপর কারা এ হামলা করলো এ প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে।

যে শিক্ষার্থী ভাইয়েরা দেশ সংস্কারের জন্য ডাক দিয়েছেন, তারা আমাদের পুলিশের সংস্কারের জন্য এগিয়ে আসুন। জনগণের আস্থা আমরাও আবার ফিরিয়ে আনতে চাই, জনগণ এই পুলিশকে দেখে বুকে জড়িয়ে ধরবে, বিজয় মিছিল করবে।

এসময় লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সদস্যরা ১১ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হল-

১. পুলিশ কোনো সরকারের অধীনে কাজ করবে না রাষ্ট্রপতির অধীনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে দেশ ও জনগণের সেবা করবে।
২. পুলিশ কোনো এমপি, মন্ত্রীকে প্রোটোকল দেবে না।
৩. পুলিশের সর্বোচ্চ সু-চিকিৎসা দ্রুত সময়ে মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
৪. আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পুলিশ ০৮ (আট) ঘণ্টার বেশি ডিউটি করবে না। অতিরিক্ত কর্ম ঘণ্টার জন্য ওভারটাইম দিতে হবে।
৫. পুলিশের সিনিয়র অফিসাররা যেভাবে পদোন্নতি পায়, ঠিক নিম্ন কর্মচারীদের সেভাবে পদোন্নতি দিতে হবে এবং সবার পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।
৬ . অফিসারদের মতো কনস্টেবলদেরও সোর্স মানি দিতে হবে।
৭. পুলিশ সদস্যদের বাৎসরিক ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি বৃদ্ধি করে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ৬০ দিন করতে হবে।
৮. পুলিশের ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে
৯. প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে নিজ নিজ রেঞ্জের মধ্যে বদলি করতে হবে এবং পরবর্তীতে যেন নিজ রেঞ্জের বাহিরে বদলি না হয় সেটার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
১০. পুলিশকে প্রত্যেক মাসের ১০ তারিখের মধ্যে টিএ বিল নিশ্চিত করতে হবে।
১১. বর্তমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সব পুলিশ সদস্য দেশের জন্য শাহাদাৎ বরণ করেছে তাদের সঠিক বিচার, যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং তাদের পরিবার থেকে একজন করে সরকারি চাকরি না দেওয়া পর্যন্ত পুলিশের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হলো।

সংবাদ সম্মেলন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা।