তিনি বলেন, এতে আমাদের পরিবারের লোকজনের তার প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস বেড়ে যায়। কিছুদিন পূর্বে কবিরাজ আমাদেরকে জানান, আমার মেয়ে স্বপ্নের মধ্যে গুপ্তধন পেয়েছে।
টাকা দিয়ে ‘গুপ্তধন’ মিলল ৫ পয়সা! কবিরাজকে খুঁজছে পুলিশ

- আপডেট সময় : ০৩:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
- / ১২১ বার পড়া হয়েছে

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের আ. জলিল হাওলাদারের পরিবারের কাছ থেকে প্রতারণা করে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কবিরাজ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। উপস্থিত সকলের সামনে কাপড়ে মোড়ানো ওই পাতিলের মধ্যে থেকে ১৯৬৫ সালের পাকিস্তানের পাঁচ পয়সার একটি কয়েন এবং ১৯৯৪ সালের ভারতীয় ১০০ পয়সার একটি কয়েন বের করা হয়। প্রতারক কবিরাজকে খুঁজছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে দিনমজুর আ. জলিল হাওলাদারের বাড়িতে গুপ্তধন সংরক্ষিত আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন জলিল হাওলাদারের বাড়িতে উপস্থিত হন।
তাদের উপস্থিতিতে আ. জলিল হাওলাদার বসতঘরের সিড়ির কাছে একটু মাটির নিচ থেকে সাদা কাপড়ে মোড়ানো একটি সিলভারের পাতিল বের করে
ওই বিষয়ে আ. জলিল হাওলাদার বলেন, ‘আমার মেয়ে ফারজানা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলো। অনেক ডাক্তার, কবিরাজ দেখিয়েছি। কোন সুফল পাই নাই।
গুপ্তধন দেওয়ার নামে দিনমজুর আ. জলিল হাওলাদারের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি বলেন, ‘আমি গরীব মানুষ, দিনমজুরের কাজ করি।
আমতলী থানার এসআই মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় অনেক লোকজনের উপস্থিতিতে পাতিল খোলা হলে সাদা কাপড়ে মোড়ানো পাকিস্তানের ১৯৬৫ সালের পাঁচ পয়সার একটি কয়েন ও ১৯৯৪ সালের ভারতীয় ১০০ পায়সার একটি কয়েন পাওয়া যায়। কবিরাজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কবিরাজকে খোঁজা হচ্ছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।