১২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাঁটাই আতঙ্ক চলছে বরিশাল নগর ভবনে

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:৩২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৯৬ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল নগর ভবনে দৈনিক মজুরির অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বুধবার অনেক কর্মচারীকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেওয়া হয়নি। তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে কিনা তাও স্পষ্ট করেননি নগর ভবনের দায়িত্বশীলরা। গুঞ্জন ছড়িয়েছে, অস্থায়ী ১০২ জন ছাঁটাই হচ্ছেন।

স্বাক্ষর করতে না পারা কর্মচারীদের বেশির ভাগ সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করতেন। তাঁর মেয়াদেই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী আল আমিন বলেন, ‘আমরা ১৬ জন মেয়রের দপ্তরে স্বাক্ষর করতাম। আজ (বুধবার) সকালে কর্মস্থলে গেলে স্বাক্ষরের জন্য হাজিরা খাতা খুঁজে পাইনি। পরে চলে এসেছি।’ আরেক কর্মচারী বাদল বলেন, ‘সকলকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

মেয়রের দপ্তরে নিযুক্ত দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী নাইম উদ্দিন বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকালে এক কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, আমাদের আর কর্মস্থলে যেতে হবে না। হাজিরা খাতায় আমাকে স্বাক্ষর করতে দেওয়া হয়নি। চাকরি হারিয়ে আমার মতো আরও অনেক কর্মচারী কান্নাকাটি করছেন।’

অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা ছাঁটাই হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেল বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই।

সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী বলেন, নগর ভবনে চুক্তিভিত্তিক ৪২ কর্মচারী রয়েছেন। তবে তাদের চুক্তির সুনির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ করা হয়নি। ফলে এ নিয়োগ বিধিমতো হয়নি। আনুমানিক ১৫ জনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। অস্থায়ী কর্মচারী ছাঁটাইয়ের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

ছাঁটাই আতঙ্ক চলছে বরিশাল নগর ভবনে

আপডেট সময় : ০৮:৩২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বরিশাল নগর ভবনে দৈনিক মজুরির অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বুধবার অনেক কর্মচারীকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেওয়া হয়নি। তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে কিনা তাও স্পষ্ট করেননি নগর ভবনের দায়িত্বশীলরা। গুঞ্জন ছড়িয়েছে, অস্থায়ী ১০২ জন ছাঁটাই হচ্ছেন।

স্বাক্ষর করতে না পারা কর্মচারীদের বেশির ভাগ সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করতেন। তাঁর মেয়াদেই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী আল আমিন বলেন, ‘আমরা ১৬ জন মেয়রের দপ্তরে স্বাক্ষর করতাম। আজ (বুধবার) সকালে কর্মস্থলে গেলে স্বাক্ষরের জন্য হাজিরা খাতা খুঁজে পাইনি। পরে চলে এসেছি।’ আরেক কর্মচারী বাদল বলেন, ‘সকলকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

মেয়রের দপ্তরে নিযুক্ত দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী নাইম উদ্দিন বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকালে এক কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, আমাদের আর কর্মস্থলে যেতে হবে না। হাজিরা খাতায় আমাকে স্বাক্ষর করতে দেওয়া হয়নি। চাকরি হারিয়ে আমার মতো আরও অনেক কর্মচারী কান্নাকাটি করছেন।’

অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা ছাঁটাই হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেল বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই।

সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী বলেন, নগর ভবনে চুক্তিভিত্তিক ৪২ কর্মচারী রয়েছেন। তবে তাদের চুক্তির সুনির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ করা হয়নি। ফলে এ নিয়োগ বিধিমতো হয়নি। আনুমানিক ১৫ জনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। অস্থায়ী কর্মচারী ছাঁটাইয়ের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।