০১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:১২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২৬০ বার পড়া হয়েছে

এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চমকের কথা আগে থেকেই বলে আসছিলেন নিপুণ। প্রথম চমক হিসেবে হাজির করেছেন অভিনেতা মাহমুদ কলিকে। কিন্তু দ্বিতীয় চমক যে পীরজাদা শহীদুল হারুন হবেন এটা অন্তত প্রায় সবারই অজানা ছিল। কারণ, চুমু খেতে চাওয়ার অভিযোগে হারুনকে থাপড়াতে চেয়েছিলেন নিপুণ। অন্যদিকে নিপুণকে চরিত্রহীনসহ বাজে ভাষায় গালাগালি করেছিলেন পীরজাদা শহীদুল হারুন। সেই সময় দুজনের মধ্যে যা হয়েছিল তাতে দুজন দুজনের মুখ দেখারই কথা না। কিন্তু হলো ভিন্ন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদে সভাপতি প্রার্থী মাহমুদ কলির নেতৃত্বে মঙ্গলবার বিকালে এফডিসিতে একসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা। পীরজাদা শহীদুল হারুন ও নিপুণ আক্তারকে একসঙ্গে একই প্যানেল দেখে খানিকটা চমকে গেছেন অনেকেই। তবে তিনি কোনো পদে প্রার্থী হচ্ছেন তা এখনো জানা যায়নি।

পীরজাদা শহীদুল হারুন বলেন, আমাদের শিল্পীদের মধ্যে বিভেদ নেই। আমরা সবাই এক। দুই বছর আগে যে নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে আমি আম্পায়ার ছিলাম। এবার আমি খেলোয়াড়।

গত মেয়াদে নিপুণের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটির বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে নিপুণ বড় অভিযোগ করেছিল, এটা ঠিক। কিন্তু সে ওটা নিজের কানে শোনেনি। যারা নিপুণকে ভুল বুঝিয়েছিল সে তাদের কথা প্রকাশ্যেই বলবে। আমি চাই শিল্পীদের এক করতে। সে লক্ষ্য নিয়েই আমি এসেছি।

এ সময় নিপুণ বলেন, আগেই বলেছিলাম আমাদের প্যানেলে বড় বড় কিছু চমক থাকবে। হারুন ভাই তার মধ্যে একটি। তৃতীয় পক্ষের কারণে আমাদের একটা ঝামেলা হয়েছিল। সেটা এখন আর নেই। দিনশেষে আমরা সবাই শিল্পী, সবাই একসঙ্গে কাজ করতে চাই।

প্রসঙ্গত, গত ২০২২-২৩ মেয়াদে পরাজয়ের পর জাতীয় প্রেসক্লাবে পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। সেই সময় নিপুণ বলেছিলেন— নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন ভোটের দিন সকালে আমার কাছে দুটা চুমু চেয়েছিলেন। সেখানে আমাদের প্যানেলের জেসমিন ছিল। হারুনের ওই কথার জন্য তাকে থাপড়ানো উচিত। কিন্তু নির্বাচনের জন্য তাকে কোনো কিছু বলিনি। তাকে সিনেমা-নাটকে কোনো দিন নেওয়া উচিত নয়।

অপরদিকে তার অভিযোগ মিথ্যে বলে হারুন বলেছিলেন, ‘নিপুণ একটি বাজে মেয়ে, তার স্বভাব চরিত্রেও প্রবলেম আছে। তাই সে নিজেকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নিয়োজিত রাখতে না পেরে অস্বাভাবিক।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

চুমু খেতে চাওয়া সেই পীরজাদা হারুনকে দলে নিলেন নিপুণ!

আপডেট সময় : ০৫:১২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চমকের কথা আগে থেকেই বলে আসছিলেন নিপুণ। প্রথম চমক হিসেবে হাজির করেছেন অভিনেতা মাহমুদ কলিকে। কিন্তু দ্বিতীয় চমক যে পীরজাদা শহীদুল হারুন হবেন এটা অন্তত প্রায় সবারই অজানা ছিল। কারণ, চুমু খেতে চাওয়ার অভিযোগে হারুনকে থাপড়াতে চেয়েছিলেন নিপুণ। অন্যদিকে নিপুণকে চরিত্রহীনসহ বাজে ভাষায় গালাগালি করেছিলেন পীরজাদা শহীদুল হারুন। সেই সময় দুজনের মধ্যে যা হয়েছিল তাতে দুজন দুজনের মুখ দেখারই কথা না। কিন্তু হলো ভিন্ন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদে সভাপতি প্রার্থী মাহমুদ কলির নেতৃত্বে মঙ্গলবার বিকালে এফডিসিতে একসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা। পীরজাদা শহীদুল হারুন ও নিপুণ আক্তারকে একসঙ্গে একই প্যানেল দেখে খানিকটা চমকে গেছেন অনেকেই। তবে তিনি কোনো পদে প্রার্থী হচ্ছেন তা এখনো জানা যায়নি।

পীরজাদা শহীদুল হারুন বলেন, আমাদের শিল্পীদের মধ্যে বিভেদ নেই। আমরা সবাই এক। দুই বছর আগে যে নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে আমি আম্পায়ার ছিলাম। এবার আমি খেলোয়াড়।

গত মেয়াদে নিপুণের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটির বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে নিপুণ বড় অভিযোগ করেছিল, এটা ঠিক। কিন্তু সে ওটা নিজের কানে শোনেনি। যারা নিপুণকে ভুল বুঝিয়েছিল সে তাদের কথা প্রকাশ্যেই বলবে। আমি চাই শিল্পীদের এক করতে। সে লক্ষ্য নিয়েই আমি এসেছি।

এ সময় নিপুণ বলেন, আগেই বলেছিলাম আমাদের প্যানেলে বড় বড় কিছু চমক থাকবে। হারুন ভাই তার মধ্যে একটি। তৃতীয় পক্ষের কারণে আমাদের একটা ঝামেলা হয়েছিল। সেটা এখন আর নেই। দিনশেষে আমরা সবাই শিল্পী, সবাই একসঙ্গে কাজ করতে চাই।

প্রসঙ্গত, গত ২০২২-২৩ মেয়াদে পরাজয়ের পর জাতীয় প্রেসক্লাবে পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। সেই সময় নিপুণ বলেছিলেন— নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন ভোটের দিন সকালে আমার কাছে দুটা চুমু চেয়েছিলেন। সেখানে আমাদের প্যানেলের জেসমিন ছিল। হারুনের ওই কথার জন্য তাকে থাপড়ানো উচিত। কিন্তু নির্বাচনের জন্য তাকে কোনো কিছু বলিনি। তাকে সিনেমা-নাটকে কোনো দিন নেওয়া উচিত নয়।

অপরদিকে তার অভিযোগ মিথ্যে বলে হারুন বলেছিলেন, ‘নিপুণ একটি বাজে মেয়ে, তার স্বভাব চরিত্রেও প্রবলেম আছে। তাই সে নিজেকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নিয়োজিত রাখতে না পেরে অস্বাভাবিক।