০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরিশালে নৌ-আকাশযান চলাচল বন্ধ

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৩:২০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
  • / ২৩৭ বার পড়া হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরিশালে আজ সকাল থেকে ঝড়োহাওয়া বইছে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতোমধ্যে নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে জেলা প্রশাসন। দুর্যোগকালীন সময়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বরিশাল বিভাগে ৪৭২টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জনসাধারণকে সতর্ক থাকার ঘোষণা দিয়ে মাইকিং শুরু করেছে রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। এদিকে বাড়তে শুরু করেছে বরিশাল বিভাগের ৯ নদীর পানি।

রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও অপরিমাপযোগ্য। তবে বরিশালে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০ নটিক্যাল মাইল। ঘূর্ণিঝড় যত নিকটবর্তী হচ্ছে এর গতি আরও বাড়ছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আবদুল কুদ্দুস বলেন, সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত ও নদী বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বরিশাল বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, রোববার বরিশাল থেকে একটি ফ্লাইট ছিল। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সেটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরে সব বিমান ওঠানামাও স্থগিত করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুণরায় ফ্লাইট চালু করা হবে।

বিআইডব্লিউটিএ-এর উপ-পরিচালক ও বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, দুর্যোগকালীন ও পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে ৪৭০-৪৭২টির মতো মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ৯টি নদীর পানির উচ্চতা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর প্রতিটি নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে তা এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলার ৫৪১টি আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত বহুতল ভবন, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। সিপিপি, রেড ক্রিসেন্টসহ সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো মাঠে কাজ শুরু করেছে।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরিশালে নৌ-আকাশযান চলাচল বন্ধ

আপডেট সময় : ০৩:২০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরিশালে আজ সকাল থেকে ঝড়োহাওয়া বইছে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতোমধ্যে নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে জেলা প্রশাসন। দুর্যোগকালীন সময়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বরিশাল বিভাগে ৪৭২টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জনসাধারণকে সতর্ক থাকার ঘোষণা দিয়ে মাইকিং শুরু করেছে রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। এদিকে বাড়তে শুরু করেছে বরিশাল বিভাগের ৯ নদীর পানি।

রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও অপরিমাপযোগ্য। তবে বরিশালে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০ নটিক্যাল মাইল। ঘূর্ণিঝড় যত নিকটবর্তী হচ্ছে এর গতি আরও বাড়ছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আবদুল কুদ্দুস বলেন, সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত ও নদী বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বরিশাল বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, রোববার বরিশাল থেকে একটি ফ্লাইট ছিল। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সেটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরে সব বিমান ওঠানামাও স্থগিত করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুণরায় ফ্লাইট চালু করা হবে।

বিআইডব্লিউটিএ-এর উপ-পরিচালক ও বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, দুর্যোগকালীন ও পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে ৪৭০-৪৭২টির মতো মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ৯টি নদীর পানির উচ্চতা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর প্রতিটি নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে তা এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলার ৫৪১টি আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত বহুতল ভবন, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। সিপিপি, রেড ক্রিসেন্টসহ সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো মাঠে কাজ শুরু করেছে।