১০:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় দেখতে সাগরপাড়ে পর্যটকদের ভিড়

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৪:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
  • / ১৯৭ বার পড়া হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাব দেখতে সাগরপাড়ে সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছে শতশত পর্যটকসহ স্থানীয়রা।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার সতর্কবার্তা দেওয়ার পরেও তারা সমুদ্রপাড় থেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে না।

রোববার (২৬ মে) কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাগড়পাড়ে ভিড় জমিয়েছে শত শত পর্যটক। এ সময় বড় বড় ঢেউয়ের ছবি তুলতে কিংবা ভিডিও করতে দেখা যায়। কেউ বা আবার লাইভে আছেন। পর্যটকদের দেখে মনে হচ্ছে ঈদের ছুটি কাটাতে কুয়াকাটায় এসেছে তারা।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা রিজিওনাল এসপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর কুয়াকাটার ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

তারা পর্যটকদের নিরাপদে রাখতে মাইকিংসহ নিরাপত্তার সংবাদ প্রচার করছে। উৎসুক পর্যটকদের কোনোভাবে বোঝানো যাচ্ছে না। তারা সমুদ্রপাড়ে ভিড় করছে। তাদেরকে বুঝিয়ে নিরাপদে চলে যেতে বলা হচ্ছে।

এদিকে সাগর পাড়ের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল নিরাপদ স্থানে সরানো শুরু করেছেন।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড় রিমাল নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া এক বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

এদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে কক্সবাজার রুটের সব ধরনের বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়ছে।

এর আগে শনিবার (২৫ মে) রাতে বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

এ বিষয়ে রাতেই আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

তার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, অতিপ্রবল হিসেবে দেশের উপকূল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

এ অবস্থায় উপকূলের ১৩টিসহ ১৮ জেলা রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, কখনো কখনো এটি ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

ঘূর্ণিঝড় দেখতে সাগরপাড়ে পর্যটকদের ভিড়

আপডেট সময় : ০৩:৩৪:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাব দেখতে সাগরপাড়ে সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছে শতশত পর্যটকসহ স্থানীয়রা।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার সতর্কবার্তা দেওয়ার পরেও তারা সমুদ্রপাড় থেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে না।

রোববার (২৬ মে) কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাগড়পাড়ে ভিড় জমিয়েছে শত শত পর্যটক। এ সময় বড় বড় ঢেউয়ের ছবি তুলতে কিংবা ভিডিও করতে দেখা যায়। কেউ বা আবার লাইভে আছেন। পর্যটকদের দেখে মনে হচ্ছে ঈদের ছুটি কাটাতে কুয়াকাটায় এসেছে তারা।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা রিজিওনাল এসপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর কুয়াকাটার ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

তারা পর্যটকদের নিরাপদে রাখতে মাইকিংসহ নিরাপত্তার সংবাদ প্রচার করছে। উৎসুক পর্যটকদের কোনোভাবে বোঝানো যাচ্ছে না। তারা সমুদ্রপাড়ে ভিড় করছে। তাদেরকে বুঝিয়ে নিরাপদে চলে যেতে বলা হচ্ছে।

এদিকে সাগর পাড়ের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল নিরাপদ স্থানে সরানো শুরু করেছেন।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড় রিমাল নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া এক বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

এদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে কক্সবাজার রুটের সব ধরনের বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়ছে।

এর আগে শনিবার (২৫ মে) রাতে বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

এ বিষয়ে রাতেই আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

তার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, অতিপ্রবল হিসেবে দেশের উপকূল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

এ অবস্থায় উপকূলের ১৩টিসহ ১৮ জেলা রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, কখনো কখনো এটি ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।