০১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘গাজায় জীবন বাঁচানোর কোনো কিছু নেই’

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১৮১ বার পড়া হয়েছে

বার্তা ডেস্ক ॥ হামাস ‘ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে’ পৌঁছেছে বলে সতর্ক করার পর মঙ্গলবার গাজায় বোমা হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নেতারা আশঙ্কা করছেন, অবরুদ্ধ অঞ্চলটি শিগগিরই রোগ ও অনাহারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়বে এবং তারা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য ইসরাইলের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছেন।

মঙ্গলবার প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়েছে। হামাস বলেছে মধ্য গাজায় সংঘর্ষ হয়েছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা ভূখণ্ডের দক্ষিণে মারাত্মক ইসরাইলি হামলার খবর দিয়েছে।

সোমবারের হামলাগুলো এখন যুদ্ধের কেন্দ্রস্থল গাজার দক্ষিণের প্রধান শহর খান ইউনিসকে লক্ষ্য করে। একইসঙ্গে মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে হামলা চালানো হচ্ছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় খুঁজছে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সোমবার গভীর রাতে বলেছেন, ‘হামাস বিলুপ্তির পথে, আইডিএফ তার শেষ শক্ত ঘাঁটিগুলো দখল করে নিচ্ছে।’

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরাইল হিংসাত্মক হামলা চালিয়ে গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে এবং এতে কমপক্ষে ১৮,২০০ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

ইসরাইলের সেনা প্রধান হার্জি হালেভি সোমবার খান ইউনিসের কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, তার বাহিনী ‘গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে, উপত্যকার দক্ষিণ অংশে প্রবেশদ্বার এবং মাটির গভীরে টানেল গুলোতে আমাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

জাতিসংঘ বলেছে, অঞ্চলটির ২৪ লাখ মানুষের মধ্যে ১৯ লাখ যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এরমধ্যে অর্ধেক নারী ও শিশু।

গাজা শহরের আল-রিমাল আশপাশে ইসরাইলি হামলায় আশপাশের বাড়িঘর ও দোকান ধ্বংস হওয়ার পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জাতিসংঘের একটি সংস্থার সদর দফতরে শিবির স্থাপন করে।

এএফপি’র একজন সংবাদদাতা বলেছেন, ইসলামিক এবং সংলগ্ন আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় উভয়ই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

একজন দর্জি রামি আল-দাহদুহ (২৩) বলেন, ‘কোনও পানি নেই। বিদ্যুৎ নেই, রুটি নেই, বাচ্চাদের জন্য দুধ নেই এবং ডায়াপার নেই, অর্থ্যাৎ এক কথায় বলতে গেলে জীবন বাঁচানোর কোন কিছু নেই’।

আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো ইসরাইলি বোমাবর্ষণের মধ্যে মরিয়া গাজাবাসীদের জন্য সরবরাহ পেতে লড়াই করেছে। এখন শুধুমাত্র মিসরের রাফাহ ক্রসিং খোলা রয়েছে।

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

‘গাজায় জীবন বাঁচানোর কোনো কিছু নেই’

আপডেট সময় : ১২:০৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

বার্তা ডেস্ক ॥ হামাস ‘ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে’ পৌঁছেছে বলে সতর্ক করার পর মঙ্গলবার গাজায় বোমা হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নেতারা আশঙ্কা করছেন, অবরুদ্ধ অঞ্চলটি শিগগিরই রোগ ও অনাহারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়বে এবং তারা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য ইসরাইলের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছেন।

মঙ্গলবার প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়েছে। হামাস বলেছে মধ্য গাজায় সংঘর্ষ হয়েছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা ভূখণ্ডের দক্ষিণে মারাত্মক ইসরাইলি হামলার খবর দিয়েছে।

সোমবারের হামলাগুলো এখন যুদ্ধের কেন্দ্রস্থল গাজার দক্ষিণের প্রধান শহর খান ইউনিসকে লক্ষ্য করে। একইসঙ্গে মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে হামলা চালানো হচ্ছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় খুঁজছে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সোমবার গভীর রাতে বলেছেন, ‘হামাস বিলুপ্তির পথে, আইডিএফ তার শেষ শক্ত ঘাঁটিগুলো দখল করে নিচ্ছে।’

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরাইল হিংসাত্মক হামলা চালিয়ে গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে এবং এতে কমপক্ষে ১৮,২০০ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

ইসরাইলের সেনা প্রধান হার্জি হালেভি সোমবার খান ইউনিসের কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, তার বাহিনী ‘গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে, উপত্যকার দক্ষিণ অংশে প্রবেশদ্বার এবং মাটির গভীরে টানেল গুলোতে আমাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

জাতিসংঘ বলেছে, অঞ্চলটির ২৪ লাখ মানুষের মধ্যে ১৯ লাখ যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এরমধ্যে অর্ধেক নারী ও শিশু।

গাজা শহরের আল-রিমাল আশপাশে ইসরাইলি হামলায় আশপাশের বাড়িঘর ও দোকান ধ্বংস হওয়ার পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জাতিসংঘের একটি সংস্থার সদর দফতরে শিবির স্থাপন করে।

এএফপি’র একজন সংবাদদাতা বলেছেন, ইসলামিক এবং সংলগ্ন আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় উভয়ই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

একজন দর্জি রামি আল-দাহদুহ (২৩) বলেন, ‘কোনও পানি নেই। বিদ্যুৎ নেই, রুটি নেই, বাচ্চাদের জন্য দুধ নেই এবং ডায়াপার নেই, অর্থ্যাৎ এক কথায় বলতে গেলে জীবন বাঁচানোর কোন কিছু নেই’।

আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো ইসরাইলি বোমাবর্ষণের মধ্যে মরিয়া গাজাবাসীদের জন্য সরবরাহ পেতে লড়াই করেছে। এখন শুধুমাত্র মিসরের রাফাহ ক্রসিং খোলা রয়েছে।