১১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোটা আন্দোলন: সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সুরক্ষিত ছিল বিএমপির সব থানা

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:২৪:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১১৯ বার পড়া হয়েছে

ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশের বিভিন্ন থানায় হামলা ভাঙচুর চালানো হলেও বরিশাল মহানগরীর কোনো থানায় এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে গত ৫ আগস্ট দুপুরের দিকে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা কাউনিয়া থানায় হামলা চালাতে গেলে পুলিশ তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে বরিশাল সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আল-আমিন ও মেজর মোহাম্মদ রাশেদ খানের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা সেখানে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে কথা বলে তাদের নিবৃত্ত করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মেজর মোহাম্মদ রাশেদ খান জানান, বরিশালে সেনা মোতায়েনের পর থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত। সেই দায়িত্ব থেকে গত ৫ আগস্ট কাউনিয়া থানায় হামলা চেষ্টার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের নিবৃত্ত করা হয়। এসময় পুলিশ সদস্যরাও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানান তিনি।
কাউনিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে সকালের দিকে একদল দুর্বৃত্ত থানা ভবন ঘেরাও করে হামলা ও লুটপাটের চেষ্টা চালায়। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসার পর কোনো রক্তপাত ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মোট চারটি থানা নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠিত। এর মধ্যে রয়েছে কোতয়ালী মডেল থানা, বন্দর থানা, বিমানবন্দর (এয়ারপোর্ট) থানা ও কাউনিয়া থানা। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা নিরসনে এসব থানার পুলিশ সদস্যরা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বরিশালে ছাত্র আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল।এসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ দিন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধরা। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬ জন। পুলিশ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং আন্দোলনকারী শতাধিক আহত হয়েছে।
এদিকে বিক্ষোভকালে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের বাসভবন, দুদক কার্যালয় এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়। পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২৫টির অধিক মোটরসাইকেল, ভাঙচুর করা হয় একটি অ্যাম্বুলেন্স। এ পরিস্থিতিতে পুলিশের একার পক্ষে এই অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি খুব জরুরি পদক্ষেপ ছিল। অন্যথায় বরিশালে ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা আরো বেশি হওয়ার আশঙ্কা ছিল।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

কোটা আন্দোলন: সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সুরক্ষিত ছিল বিএমপির সব থানা

আপডেট সময় : ১২:২৪:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশের বিভিন্ন থানায় হামলা ভাঙচুর চালানো হলেও বরিশাল মহানগরীর কোনো থানায় এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে গত ৫ আগস্ট দুপুরের দিকে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা কাউনিয়া থানায় হামলা চালাতে গেলে পুলিশ তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে বরিশাল সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আল-আমিন ও মেজর মোহাম্মদ রাশেদ খানের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা সেখানে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে কথা বলে তাদের নিবৃত্ত করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মেজর মোহাম্মদ রাশেদ খান জানান, বরিশালে সেনা মোতায়েনের পর থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত। সেই দায়িত্ব থেকে গত ৫ আগস্ট কাউনিয়া থানায় হামলা চেষ্টার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের নিবৃত্ত করা হয়। এসময় পুলিশ সদস্যরাও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানান তিনি।
কাউনিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে সকালের দিকে একদল দুর্বৃত্ত থানা ভবন ঘেরাও করে হামলা ও লুটপাটের চেষ্টা চালায়। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসার পর কোনো রক্তপাত ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মোট চারটি থানা নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠিত। এর মধ্যে রয়েছে কোতয়ালী মডেল থানা, বন্দর থানা, বিমানবন্দর (এয়ারপোর্ট) থানা ও কাউনিয়া থানা। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা নিরসনে এসব থানার পুলিশ সদস্যরা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বরিশালে ছাত্র আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল।এসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ দিন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধরা। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬ জন। পুলিশ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং আন্দোলনকারী শতাধিক আহত হয়েছে।
এদিকে বিক্ষোভকালে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের বাসভবন, দুদক কার্যালয় এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়। পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২৫টির অধিক মোটরসাইকেল, ভাঙচুর করা হয় একটি অ্যাম্বুলেন্স। এ পরিস্থিতিতে পুলিশের একার পক্ষে এই অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি খুব জরুরি পদক্ষেপ ছিল। অন্যথায় বরিশালে ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা আরো বেশি হওয়ার আশঙ্কা ছিল।