০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটা উপকূলে মরিচ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকার কৃষকরা চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে মরিচ চাষে ব্যস্ত রয়েছেন। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে জমি তৈরি এবং চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে এখানকার মরিচ চাষিরা। গত বছর ভালো ফলন ও ন্যায্য দাম পাওয়ায় মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা। অল্প খরচে মরিচ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় ধান চাষের পাশাপাশি মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছে চাষিরা। মরিচের বীজ বপনের ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে কৃষক গাছ থেকে মরিচ উত্তোলন শুরু করে। এটি একটি অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল। জমিতে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ মণ মরিচ উৎপন্ন হয়। প্রতিমণ কাচা মরিচ হাটে বাজারে ২৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকায় বিক্রয় করতে পারে কৃষক।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার মরিচ চাষে ভালো লাভ হবে বলে জানান তারা। বর্তমান বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ সময় কথা হয় কৃষক ছগিরের সাথে তিনি জানান, ‘অজানা রোগে মরিচ গাছের পাতা শুকিয়ে কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে।’

এ ছাড়াও লতাচাপলী ইউনিয়নের কৃষক মাসুম জানান, ‘গত বছর ১ একর জায়গায় মরিচ দিয়ে ছিলেন। খরচ শেষে তার এক লাখ টাকা আয় হয়েছে। তাই এবারো তিনি ১.৫ একর জমিতে মরিচ দিয়েছেন। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এ বছরও ভালো ফসল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী।’

কুয়াকাটার কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, ‘এবার তিনি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছে। প্রতি বছরের চেয়ে এবার বেশি পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করেছে। মরিচ চাষে লাভ ভালো হওয়ায় এবার তিনি বেশি ফলনের আশা করছেন।’

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কেআরএম সাইফুল্লাহ জানান, ‘এ বছর ৬৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। ফল বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদফতর রোগবালাই ও সার ব্যবস্থাপনা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করছে। আরো সহনশীল জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।’

তিনি আরো বলেন, ‘উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গিয়ে মরিচ চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করি, কৃষক এবার মরিচের ভাল দাম পাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মরিচ চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন।’

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

কুয়াকাটা উপকূলে মরিচ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

আপডেট সময় : ০৬:২৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকার কৃষকরা চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে মরিচ চাষে ব্যস্ত রয়েছেন। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে জমি তৈরি এবং চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে এখানকার মরিচ চাষিরা। গত বছর ভালো ফলন ও ন্যায্য দাম পাওয়ায় মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা। অল্প খরচে মরিচ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় ধান চাষের পাশাপাশি মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছে চাষিরা। মরিচের বীজ বপনের ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে কৃষক গাছ থেকে মরিচ উত্তোলন শুরু করে। এটি একটি অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল। জমিতে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ মণ মরিচ উৎপন্ন হয়। প্রতিমণ কাচা মরিচ হাটে বাজারে ২৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকায় বিক্রয় করতে পারে কৃষক।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার মরিচ চাষে ভালো লাভ হবে বলে জানান তারা। বর্তমান বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ সময় কথা হয় কৃষক ছগিরের সাথে তিনি জানান, ‘অজানা রোগে মরিচ গাছের পাতা শুকিয়ে কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে।’

এ ছাড়াও লতাচাপলী ইউনিয়নের কৃষক মাসুম জানান, ‘গত বছর ১ একর জায়গায় মরিচ দিয়ে ছিলেন। খরচ শেষে তার এক লাখ টাকা আয় হয়েছে। তাই এবারো তিনি ১.৫ একর জমিতে মরিচ দিয়েছেন। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এ বছরও ভালো ফসল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী।’

কুয়াকাটার কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, ‘এবার তিনি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছে। প্রতি বছরের চেয়ে এবার বেশি পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করেছে। মরিচ চাষে লাভ ভালো হওয়ায় এবার তিনি বেশি ফলনের আশা করছেন।’

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কেআরএম সাইফুল্লাহ জানান, ‘এ বছর ৬৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। ফল বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদফতর রোগবালাই ও সার ব্যবস্থাপনা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করছে। আরো সহনশীল জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।’

তিনি আরো বলেন, ‘উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গিয়ে মরিচ চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করি, কৃষক এবার মরিচের ভাল দাম পাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মরিচ চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন।’