০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ উপজেলা আ’লীগের ৫১ নেতাকর্মীর নামে মামলা

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:৫০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৯৪ বার পড়া হয়েছে

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো: মহিববুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের ৫১ জন নেতাকর্মীর নামে কলাপাড়া থানায় মামলা করা হয়েছে। গত বছরের ৩০ আগস্ট উপজেলা বিএনপির নতুন বাজার দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় এ মামলা করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বাস শফিকুর রহমান টুলু এ মামলাটি দায়ের করেন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো: মহিববুর রহমান ছাড়া এ মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, পৌর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইউসুফ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান, চকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: হুমায়ুন কবীর ওরফে কেরামত হাওলাদার, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: তারেকুজ্জামান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: মাহবুবুর রহমান, বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম হুমায়ুন কবীর, উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান অমি গাজী।

এ মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের ৩০ আগস্ট উপজেলা বিএনপির নতুন বাজার এলাকার দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালায়। এ মামলার আসামিরা রামদা, ছেনা, বগি লোহার রড, দা নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে বসা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে জীবনের তরে শেষ করে দেয়ার উদ্দেশে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বাঁচার জন্য ডাক-চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

এ মামলার আসামিরা তখন দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও ভেতরে ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে দলের কার্যালয়ের ভেতর থাকা নেতৃবৃন্দ ও আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে জীবন রক্ষার জন্য দৌড়ে যায়। এ সময় আশপাশের ব্যবসায়ীরা জানমাল রক্ষার জন্য দোকানপাট দ্রুত বন্ধ করে চলে যায়। এরপর এ মামলার আসামিরা বিএনপি কার্যালয়ে থাকা চেয়ার-টেবিলসহ অন্য আসবাবপত্র পিটিয়ে ভাঙচুর করে। এতে কার্যালয়ের চার লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। এ ছাড়া কার্যালয়ে টানানো ২০টি সিলিং ফ্যান, একটি রঙিন টিভি, সাতটি স্ট্যান্ড ফ্যান লুট করে নিয়ে যায়। যার মূল্য এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ মামলার কয়েকজন আসামি কার্যালয়ের আলমিরা ভেঙে মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যায়। সকল আসামিরা প্রায় ৩০ মিনিট তাণ্ডব চালিয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চার করে।

এজাহারে আরো বলা হয়, এ মামলার বাদি কলাপাড়া থানায় খবর দিলে থানা কর্তৃপক্ষ ওই সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায়। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করলে আসামিদের ক্ষমতা ও প্রভাবের কারণে তখন আইনানুগ ব্যবস্থা তারা নিতে পারেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ মামলার আসামিরা কেউ বর্তমানে এলাকায় নেই। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তারা আত্মগোপনে চলে গেছে। যে কারণে কারো সাথে কথা বলে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহম্মেদ জানান ,‘মামলা রুজু হয়েছে। এখন তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

কলাপাড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ উপজেলা আ’লীগের ৫১ নেতাকর্মীর নামে মামলা

আপডেট সময় : ০১:৫০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো: মহিববুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের ৫১ জন নেতাকর্মীর নামে কলাপাড়া থানায় মামলা করা হয়েছে। গত বছরের ৩০ আগস্ট উপজেলা বিএনপির নতুন বাজার দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় এ মামলা করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বাস শফিকুর রহমান টুলু এ মামলাটি দায়ের করেন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো: মহিববুর রহমান ছাড়া এ মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, পৌর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইউসুফ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান, চকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: হুমায়ুন কবীর ওরফে কেরামত হাওলাদার, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: তারেকুজ্জামান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: মাহবুবুর রহমান, বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম হুমায়ুন কবীর, উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান অমি গাজী।

এ মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের ৩০ আগস্ট উপজেলা বিএনপির নতুন বাজার এলাকার দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালায়। এ মামলার আসামিরা রামদা, ছেনা, বগি লোহার রড, দা নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে বসা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে জীবনের তরে শেষ করে দেয়ার উদ্দেশে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বাঁচার জন্য ডাক-চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

এ মামলার আসামিরা তখন দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও ভেতরে ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে দলের কার্যালয়ের ভেতর থাকা নেতৃবৃন্দ ও আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে জীবন রক্ষার জন্য দৌড়ে যায়। এ সময় আশপাশের ব্যবসায়ীরা জানমাল রক্ষার জন্য দোকানপাট দ্রুত বন্ধ করে চলে যায়। এরপর এ মামলার আসামিরা বিএনপি কার্যালয়ে থাকা চেয়ার-টেবিলসহ অন্য আসবাবপত্র পিটিয়ে ভাঙচুর করে। এতে কার্যালয়ের চার লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। এ ছাড়া কার্যালয়ে টানানো ২০টি সিলিং ফ্যান, একটি রঙিন টিভি, সাতটি স্ট্যান্ড ফ্যান লুট করে নিয়ে যায়। যার মূল্য এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ মামলার কয়েকজন আসামি কার্যালয়ের আলমিরা ভেঙে মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যায়। সকল আসামিরা প্রায় ৩০ মিনিট তাণ্ডব চালিয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চার করে।

এজাহারে আরো বলা হয়, এ মামলার বাদি কলাপাড়া থানায় খবর দিলে থানা কর্তৃপক্ষ ওই সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায়। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করলে আসামিদের ক্ষমতা ও প্রভাবের কারণে তখন আইনানুগ ব্যবস্থা তারা নিতে পারেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ মামলার আসামিরা কেউ বর্তমানে এলাকায় নেই। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তারা আত্মগোপনে চলে গেছে। যে কারণে কারো সাথে কথা বলে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহম্মেদ জানান ,‘মামলা রুজু হয়েছে। এখন তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’