০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদ মৌসুমে বরিশালে পরিবহন শ্রমিকদের গলার কাঁটা কইতর সুমন!

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:১৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২৭২ বার পড়া হয়েছে

ঈদ উপলক্ষ্যে বরিশাল নৌ- বন্দরে মাহিন্দ্রা, মিশুক (থ্রি হুইলার) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিং ও সিরিয়ালের নামে লাখ লাখ টাকা চাদাবাজির অভিযোগ উঠেছে ভাটারখাল এলাকার সুমন ওরফে (কইতর সুমন) ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

জানাযায়, ঈদ উপলক্ষ্যে গত রবিবার (৮ এপ্রিল) রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের স্পেশাল লঞ্চ আসতে শুরু হয়। রাতে ঘরমুখো যাত্রীরা লঞ্চথেকে নেমে বাড়ি যাওয়ার জন্য মাহিন্দ্রা, মিশুক (থ্রি হুইলার) ও সিএনজি ব্যবহার করেন। এজন্য আগে থেকেই এই পরিবহনগুলো টার্মিনাল পার্কিং পয়েন্ট থেকে শুরু করে সমস্থ রাস্তায় সিরিয়াল দেয়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কতিপত অসাধু ব্যক্তিরা ওই পরিবহনগুলোর কাছ থেকে সিরিয়ালের নামে চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএনজি ড্রাইভার জানান, অনেক ভিড় হয় লঞ্চ আসলে তাই যাত্রী আগে পাওয়ার জন্য লঞ্চঘাট পার্কিং পয়েন্টে সিরিয়াল দিতে আসি।কিন্ত এখানে এসে দেখি সিরিয়ালের জন্য ৮০ টাকা দিতে হয়। একটা ট্রিপ নিয়ে গেলে আর কয় টাকা লাভ হয়? এতো খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি হয়ে গেল!

আরেক হলুদ অটো ড্রাইভার বলেন, সিরিয়ালের নামে সুমন ভাইয়ের লোকজন এসে ৩০ টাকা নিয়ে গেছে। এখনতো দেখি যাত্রী নাই টাহাডা পুরাই লস।

খোজ নিয়ে যানাযায়, এই সুমন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে লঞ্চঘাট এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ অনেক পরিবহনের ড্রাইভাররা। কিছুদিন আগে সুমনের চাদাবাজির বিরুদ্ধে ড্রাইভাররা মানববন্ধনও করেছিলেন।তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানাযায়।

আরেক সুত্র জানায়, সুমনের সবচেয়ে বড় শক্তি নামধারী একজন সাংবাদিক। তিনি সুমনের এই চাদাবাজিতে একাট্টা সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। সুমন শুধু রাতে সিরিয়ালের জন্যই টাকা নেয় না প্রতিমাসেও টাকা দিতে হয় তাকে।

বরিশাল বি আই ডব্লিউ টি এর উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান,বরিশাল নৌবন্দরের এরিয়াতে অটো,মাহেন্দ্র, সিএনজি পাকিংএ টাকা নেয়ার বিষটি আমার জানা নেই। যদি কেউ নিয়ে থাকে তা সম্পূর্ণ অবৈধ আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

বরিশাল মেট্রো পলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির জানান, বরিশাল লঞ্চঘাটে গাড়ি থেকে চাঁদা উঠানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টির সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

ঈদ মৌসুমে বরিশালে পরিবহন শ্রমিকদের গলার কাঁটা কইতর সুমন!

আপডেট সময় : ০৪:১৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

ঈদ উপলক্ষ্যে বরিশাল নৌ- বন্দরে মাহিন্দ্রা, মিশুক (থ্রি হুইলার) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিং ও সিরিয়ালের নামে লাখ লাখ টাকা চাদাবাজির অভিযোগ উঠেছে ভাটারখাল এলাকার সুমন ওরফে (কইতর সুমন) ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

জানাযায়, ঈদ উপলক্ষ্যে গত রবিবার (৮ এপ্রিল) রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের স্পেশাল লঞ্চ আসতে শুরু হয়। রাতে ঘরমুখো যাত্রীরা লঞ্চথেকে নেমে বাড়ি যাওয়ার জন্য মাহিন্দ্রা, মিশুক (থ্রি হুইলার) ও সিএনজি ব্যবহার করেন। এজন্য আগে থেকেই এই পরিবহনগুলো টার্মিনাল পার্কিং পয়েন্ট থেকে শুরু করে সমস্থ রাস্তায় সিরিয়াল দেয়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কতিপত অসাধু ব্যক্তিরা ওই পরিবহনগুলোর কাছ থেকে সিরিয়ালের নামে চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএনজি ড্রাইভার জানান, অনেক ভিড় হয় লঞ্চ আসলে তাই যাত্রী আগে পাওয়ার জন্য লঞ্চঘাট পার্কিং পয়েন্টে সিরিয়াল দিতে আসি।কিন্ত এখানে এসে দেখি সিরিয়ালের জন্য ৮০ টাকা দিতে হয়। একটা ট্রিপ নিয়ে গেলে আর কয় টাকা লাভ হয়? এতো খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি হয়ে গেল!

আরেক হলুদ অটো ড্রাইভার বলেন, সিরিয়ালের নামে সুমন ভাইয়ের লোকজন এসে ৩০ টাকা নিয়ে গেছে। এখনতো দেখি যাত্রী নাই টাহাডা পুরাই লস।

খোজ নিয়ে যানাযায়, এই সুমন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে লঞ্চঘাট এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ অনেক পরিবহনের ড্রাইভাররা। কিছুদিন আগে সুমনের চাদাবাজির বিরুদ্ধে ড্রাইভাররা মানববন্ধনও করেছিলেন।তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানাযায়।

আরেক সুত্র জানায়, সুমনের সবচেয়ে বড় শক্তি নামধারী একজন সাংবাদিক। তিনি সুমনের এই চাদাবাজিতে একাট্টা সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। সুমন শুধু রাতে সিরিয়ালের জন্যই টাকা নেয় না প্রতিমাসেও টাকা দিতে হয় তাকে।

বরিশাল বি আই ডব্লিউ টি এর উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান,বরিশাল নৌবন্দরের এরিয়াতে অটো,মাহেন্দ্র, সিএনজি পাকিংএ টাকা নেয়ার বিষটি আমার জানা নেই। যদি কেউ নিয়ে থাকে তা সম্পূর্ণ অবৈধ আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

বরিশাল মেট্রো পলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির জানান, বরিশাল লঞ্চঘাটে গাড়ি থেকে চাঁদা উঠানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টির সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।