০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমি ভীতসন্ত্রস্ত: মাহি

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৮৫ বার পড়া হয়েছে

বার্তা ডেস্ক ॥  রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেছেন, আমার কাছে তথ্য আছে যে আমি যেখানে যাব, সেখানে সাধারণ জনগণ সেজে একটা বিশৃঙ্খলা করবে। আমি ভীতসন্ত্রস্ত। কারণ আর মাত্র কয়টা দিন আছে। এর মধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে কে কখন ঢুকে যাবে এবং বিশৃঙ্খলা করবে। তাই আমি প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই তারা যেন এদিকে খেয়াল রাখেন।

এমন ঘটনায় শুক্রবার মধ্যরাতে গোদাগাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গোদাগাড়ীর পালপুর এলাকায় প্রচারে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন মাহি। এর দুই দিন আগে আরেক স্থানে যুব মহিলা লীগের এক নেত্রীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এসব কারণে এখন নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন মাহি।

মাহির অভিযোগ, ভোটের মাঠে তাকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন নৌকার সমর্থকরা।
তিনি বলেন, ‘দুই দিন আগে এক হাটে আমি গণসংযোগে যাই। অটোরিকশায় বসে থাকা এক নারী আমাকে ডাকেন। তিনি যুব মহিলা লীগের নেত্রী। বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন, আমি এলাকার জন্য কি করেছি? করোনার সময় কি করেছি। সেই ভিডিও করে আবার ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

‘আজকে (শুক্রবার রাতে) আবার গোদাগাড়ীর পালপুর এলাকায় গণসংযোগ করছিলাম। আমার বক্তব্যের মাঝখানে একজন এসে আবার একই কথা বলেন, করোনার সময় কি করেছেন? আমি তখন বুঝতে পেরেছি এটা বলার নির্দেশনা আছে। এই কথা বলতে বলতে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তিনি বলেন, এটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস। এই রাস্তায় আপনি গণসংযোগ করতে পারবেন না। আমি বলেছি, এটা সরকারি রাস্তা। কেন প্রচার করতে পারব না। আপনি আমাকে বাধা দিচ্ছেন।’

মাহি বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে জানানোর কথা বলি। তখন সরি বলেছেন। আমি বললাম, ঠিক আছে সবার সামনে সরি বললে মাফ করে দেব। ফাইনালি তিনি সরি বলেন। কিন্তু সবাই মিলে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করেন। ফোন দিয়ে লোকজন জড়ো করেন। কাকে যেন ফোনে বলছিলেন, হুকুম দেন খালি। হুকম যেন কি জিনিস, সেটা গাড়িতে করে নিয়ে আসছে। আমি ইউএনও-ওসিকে ফোন করে জানাই। পরে তারা আসেন।’

গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে মাহিয়া মাহির ফোন পেয়ে আমি ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সেখানে যাই। এর পর পরিস্থিতি শান্ত করে আসি। এ ঘটনায় রাতেই প্রার্থীর লোকজন মামলা করতে আসেন। তবে যে অভিযোগ, সেটা সরাসরি মামলা হয় না। এ জন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

আমি ভীতসন্ত্রস্ত: মাহি

আপডেট সময় : ০৬:৪৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

বার্তা ডেস্ক ॥  রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেছেন, আমার কাছে তথ্য আছে যে আমি যেখানে যাব, সেখানে সাধারণ জনগণ সেজে একটা বিশৃঙ্খলা করবে। আমি ভীতসন্ত্রস্ত। কারণ আর মাত্র কয়টা দিন আছে। এর মধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে কে কখন ঢুকে যাবে এবং বিশৃঙ্খলা করবে। তাই আমি প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই তারা যেন এদিকে খেয়াল রাখেন।

এমন ঘটনায় শুক্রবার মধ্যরাতে গোদাগাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গোদাগাড়ীর পালপুর এলাকায় প্রচারে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন মাহি। এর দুই দিন আগে আরেক স্থানে যুব মহিলা লীগের এক নেত্রীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এসব কারণে এখন নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন মাহি।

মাহির অভিযোগ, ভোটের মাঠে তাকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন নৌকার সমর্থকরা।
তিনি বলেন, ‘দুই দিন আগে এক হাটে আমি গণসংযোগে যাই। অটোরিকশায় বসে থাকা এক নারী আমাকে ডাকেন। তিনি যুব মহিলা লীগের নেত্রী। বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন, আমি এলাকার জন্য কি করেছি? করোনার সময় কি করেছি। সেই ভিডিও করে আবার ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

‘আজকে (শুক্রবার রাতে) আবার গোদাগাড়ীর পালপুর এলাকায় গণসংযোগ করছিলাম। আমার বক্তব্যের মাঝখানে একজন এসে আবার একই কথা বলেন, করোনার সময় কি করেছেন? আমি তখন বুঝতে পেরেছি এটা বলার নির্দেশনা আছে। এই কথা বলতে বলতে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তিনি বলেন, এটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস। এই রাস্তায় আপনি গণসংযোগ করতে পারবেন না। আমি বলেছি, এটা সরকারি রাস্তা। কেন প্রচার করতে পারব না। আপনি আমাকে বাধা দিচ্ছেন।’

মাহি বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে জানানোর কথা বলি। তখন সরি বলেছেন। আমি বললাম, ঠিক আছে সবার সামনে সরি বললে মাফ করে দেব। ফাইনালি তিনি সরি বলেন। কিন্তু সবাই মিলে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করেন। ফোন দিয়ে লোকজন জড়ো করেন। কাকে যেন ফোনে বলছিলেন, হুকুম দেন খালি। হুকম যেন কি জিনিস, সেটা গাড়িতে করে নিয়ে আসছে। আমি ইউএনও-ওসিকে ফোন করে জানাই। পরে তারা আসেন।’

গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে মাহিয়া মাহির ফোন পেয়ে আমি ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সেখানে যাই। এর পর পরিস্থিতি শান্ত করে আসি। এ ঘটনায় রাতেই প্রার্থীর লোকজন মামলা করতে আসেন। তবে যে অভিযোগ, সেটা সরাসরি মামলা হয় না। এ জন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’