০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৯০ বার পড়া হয়েছে
বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট নামক স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি চাঁদাবাজির অভিযোগে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছে।

আহতদের স্থানীয়ভাবে ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় বিএনপি উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব মো. তুহিন মৃধা ও বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ফকিরের অনুসারী কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চাঁদাবাজির পাল্টাপাল্টি অভিযোগে দা, বঁটি, রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হন।

আহতরা হলেন যুবদল কর্মী মো. আজাদ (৪৫), শ্রমিক দল নেতা মো. মিলন (৩৬), মো. মিজানুর রহমান (৪০), বিএনপির কর্মী মো. হুমায়ুন কবির মৃধা (৩৫), মো. রেজাউল কবির (৩০) ও মজিবর রহমান আকন (৪৫)।

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. তুহিন মৃধা বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত জালাল উদ্দিন ফকিরের নেতৃত্বে তার পালিত সন্ত্রাসীরা, আমতলী সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ীদের চাঁদা বন্ধের নির্দেশ দিই।

তখন জালাল উদ্দিন ফকিরের ছেলে একাধিক চুরি, ডাকাতি ও হাইজ্যাক মামলার আসামি রাহাত ফকিরসহ তার অনুসারী মোকলেছ, আমিনুল, মোমেন, মামুন সিকদারসহ শতাধিক সন্ত্রাসী দা, রামদা, ছেনা, বঁটি ও লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আমাদের তিনজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে মিজানুর রহমানের হাত ভেঙে গেছে।’বহিষ্কৃত বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, বুধবার সকালে বিএনপির সদস্যসচিব তুহিন মৃধার নেতৃত্বে একদল বিএনপির কর্মী খুরিয়ার খেয়াঘাটের মুদি ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবিরের দোকানে চাঁদাবাজি করতে যায়।

ওই সময় ব্যবসায়ী চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার দোকান ভাঙচুরসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করে।আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে কোনো পক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

আমতলীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট নামক স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি চাঁদাবাজির অভিযোগে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছে।

আহতদের স্থানীয়ভাবে ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় বিএনপি উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব মো. তুহিন মৃধা ও বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ফকিরের অনুসারী কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চাঁদাবাজির পাল্টাপাল্টি অভিযোগে দা, বঁটি, রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হন।

আহতরা হলেন যুবদল কর্মী মো. আজাদ (৪৫), শ্রমিক দল নেতা মো. মিলন (৩৬), মো. মিজানুর রহমান (৪০), বিএনপির কর্মী মো. হুমায়ুন কবির মৃধা (৩৫), মো. রেজাউল কবির (৩০) ও মজিবর রহমান আকন (৪৫)।

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. তুহিন মৃধা বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত জালাল উদ্দিন ফকিরের নেতৃত্বে তার পালিত সন্ত্রাসীরা, আমতলী সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ীদের চাঁদা বন্ধের নির্দেশ দিই।

তখন জালাল উদ্দিন ফকিরের ছেলে একাধিক চুরি, ডাকাতি ও হাইজ্যাক মামলার আসামি রাহাত ফকিরসহ তার অনুসারী মোকলেছ, আমিনুল, মোমেন, মামুন সিকদারসহ শতাধিক সন্ত্রাসী দা, রামদা, ছেনা, বঁটি ও লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আমাদের তিনজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে মিজানুর রহমানের হাত ভেঙে গেছে।’বহিষ্কৃত বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, বুধবার সকালে বিএনপির সদস্যসচিব তুহিন মৃধার নেতৃত্বে একদল বিএনপির কর্মী খুরিয়ার খেয়াঘাটের মুদি ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবিরের দোকানে চাঁদাবাজি করতে যায়।

ওই সময় ব্যবসায়ী চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার দোকান ভাঙচুরসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করে।আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে কোনো পক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’