০৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী এক মাস খুবই ক্রুশিয়াল সময় : মেনন

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৮২ বার পড়া হয়েছে

বার্তা ডেস্ক ॥  ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বরিশাল-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জোটের শরিক দলের বড় নেতারা নির্বাচিত না হওয়ায় ১৪ দলের কোন রাজনৈতিক ইমপ্যাক্ট হবে আমি মনে করি না। হ্যাঁ হবে- ক্ষতিগ্রস্ত হবে সম্পর্ক। কিন্তু রাজনৈতিক একেবারে ওলটপালট হবে এটা মনে করছি না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের করুণ পরিণতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সোমবার দুপুরে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচরের নিজ বাড়িতে এই মন্তব্য করেন তিনি।

মেনন বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৪ দলীয় জোটের নেতা হাসানুল হক ইনু ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পরাজিত হয়েছেন। এতে ১৪ দলীয় জোটে দলগত ভাবে যতখানি না অসুবিধা হচ্ছে তার চেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে ওইসব আসনে স্থানীয়ভাবে যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং হওয়ার কথা আওয়ামী লীগের সঙ্গে, অথবা নৌকার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে, সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিং টা সেভাবে হয়নি বলে আমার ধারনা। সে কারণেই খুব আনফরচুনেটলি তারা হেরে গেছেন। তাদের পরাজয় এটাই প্রমাণ করে এবার কোন পাঁতানো নির্বাচন হয়নি। জনগণ পছন্দমতো প্রতিনিধি বেছে নিয়েছে।

 

১৪ দলীয় জোটের ভবিষ্যত পরিণতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাশেদ খান মেনন বলেন, আগামী এক মাস খুব ক্রুশিয়াল সময়। পার্লামেন্টের অবস্থা কি দাঁড়াবে, পার্লামেন্টের চেহারাটা কি হবে, সেখানে বিরোধীদল কারা হবে সেই প্রশ্নগুলো আসবে। সেগুলোর পরই স্থির হবে ১৪ দল কেন, সমস্ত রাজনৈতিক সমীকরণ কি দাঁড়াবে সেটার উপর নির্ভর করবে।

মেনন আরও বলেন, আমি এখনও মনে করি ১৪ দল রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক। সামনে যে সংকট সমস্যাগুলো রয়েছে তাতে ১৪ দলের প্রয়োজনীয়তা আছে এবং থাকবে।

১৪ দলীয় জোট ভেঙ্গে যাওয়ার গুঞ্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এটা মনে করি না। এটা যারা বলছেন তারাও মনে হয় এটা বিশ্বাস করেন না।

সকল প্রতিকূলতার মুখে, সমস্ত ধরনের অপপ্রচারের মুখে একটা শান্তিপূর্ণ সফল নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান ১৪ দলীয় জোটের এই শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, আমি ১৯৭৩ সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি। আমার জীবনের নির্বাচনী অভিজ্ঞতায় এ ধরনের নিরপেক্ষ নির্বাচন আমি খুব একটা দেখিনি।

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

আগামী এক মাস খুবই ক্রুশিয়াল সময় : মেনন

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

বার্তা ডেস্ক ॥  ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বরিশাল-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জোটের শরিক দলের বড় নেতারা নির্বাচিত না হওয়ায় ১৪ দলের কোন রাজনৈতিক ইমপ্যাক্ট হবে আমি মনে করি না। হ্যাঁ হবে- ক্ষতিগ্রস্ত হবে সম্পর্ক। কিন্তু রাজনৈতিক একেবারে ওলটপালট হবে এটা মনে করছি না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের করুণ পরিণতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সোমবার দুপুরে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচরের নিজ বাড়িতে এই মন্তব্য করেন তিনি।

মেনন বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৪ দলীয় জোটের নেতা হাসানুল হক ইনু ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পরাজিত হয়েছেন। এতে ১৪ দলীয় জোটে দলগত ভাবে যতখানি না অসুবিধা হচ্ছে তার চেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে ওইসব আসনে স্থানীয়ভাবে যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং হওয়ার কথা আওয়ামী লীগের সঙ্গে, অথবা নৌকার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে, সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিং টা সেভাবে হয়নি বলে আমার ধারনা। সে কারণেই খুব আনফরচুনেটলি তারা হেরে গেছেন। তাদের পরাজয় এটাই প্রমাণ করে এবার কোন পাঁতানো নির্বাচন হয়নি। জনগণ পছন্দমতো প্রতিনিধি বেছে নিয়েছে।

 

১৪ দলীয় জোটের ভবিষ্যত পরিণতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাশেদ খান মেনন বলেন, আগামী এক মাস খুব ক্রুশিয়াল সময়। পার্লামেন্টের অবস্থা কি দাঁড়াবে, পার্লামেন্টের চেহারাটা কি হবে, সেখানে বিরোধীদল কারা হবে সেই প্রশ্নগুলো আসবে। সেগুলোর পরই স্থির হবে ১৪ দল কেন, সমস্ত রাজনৈতিক সমীকরণ কি দাঁড়াবে সেটার উপর নির্ভর করবে।

মেনন আরও বলেন, আমি এখনও মনে করি ১৪ দল রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক। সামনে যে সংকট সমস্যাগুলো রয়েছে তাতে ১৪ দলের প্রয়োজনীয়তা আছে এবং থাকবে।

১৪ দলীয় জোট ভেঙ্গে যাওয়ার গুঞ্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এটা মনে করি না। এটা যারা বলছেন তারাও মনে হয় এটা বিশ্বাস করেন না।

সকল প্রতিকূলতার মুখে, সমস্ত ধরনের অপপ্রচারের মুখে একটা শান্তিপূর্ণ সফল নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান ১৪ দলীয় জোটের এই শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, আমি ১৯৭৩ সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি। আমার জীবনের নির্বাচনী অভিজ্ঞতায় এ ধরনের নিরপেক্ষ নির্বাচন আমি খুব একটা দেখিনি।