বোরহানউদ্দিন, ভোলা | ৪ জুলাই ২০২৫:
বোরহানউদ্দিন পৌরসভার সাবেক মেয়র, বরিশালের রাজনৈতিক অঙ্গনের সুপরিচিত মুখ এবং সাইদুর রহমান মিলন মিয়ার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২৪ সালের এই দিনে, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভোলা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুতে শুধু বোরহানউদ্দিন নয়, পুরো ভোলাজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
২০০২ সালের উপ-নির্বাচনে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মিলন মিয়া। এরপর ২০০৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা নয় বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মেয়াদকালে বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় সড়ক, ড্রেনেজ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা এখনো আলোচনায় আছে।
২০১১ সালে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। তবে ভোটকেন্দ্র দখল ও অনিয়মের প্রতিবাদে সাহসিকতার সাথে নির্বাচন বর্জন করে তিনি গণতন্ত্রের প্রতি তার অঙ্গীকারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তার এই অবস্থান আজও “বোরহানউদ্দিন রাজনীতির ইতিহাসে” এক উজ্জ্বল অধ্যায়।
সাইদুর রহমান মিলন মিয়া ছিলেন সাধারণ মানুষের আপনজন। তার বাড়ির দরজা সবসময় খোলা থাকতো সাধারণ জনগণের জন্য। বিপদে-আপদে, সমস্যা-সমাধানে তিনি ছিলেন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি।
তিনি বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির সভাপতি, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল পোস্ট মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টালের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
তার স্মৃতিকে ধরে রাখতে গঠন করা হয়েছে “সাইদুর রহমান মিলন মিয়া স্মৃতি পরিষদ”, যার মাধ্যমে এখনো বোরহানউদ্দিন ও আশপাশের এলাকায় সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমানে এই পরিষদের নেতৃত্বে আছেন তার দুই পুত্র—মেহেদী হাসান সাগর ও মোস্তাফিজুর রহমান শাওন।
প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ আসরের নামাজের পর বোরহানউদ্দিন পৌর এলাকার ঈদগাহ ময়দানসংলগ্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৫টি মসজিদ এবং দৌলতখান উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিলাদ মাহফিল ও কোরআন খতম অনুষ্ঠিত হবে।
শহরের অলিগলি, বাজার, মোড় ও চায়ের দোকানেও এখনো মানুষ স্মরণ করে মিলন মিয়ার আন্তরিকতা, কর্মনিষ্ঠা ও জনপ্রিয়তা। তার মতো একজন জনবান্ধব নেতা বোরহানউদ্দিনে আজও দৃষ্টান্ত।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply