প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়াই সাদিক অনুসারী রিয়াদের পেশা!
- আপডেট সময় : ১০:০৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
- / ১৭৬ বার পড়া হয়েছে
ভোলার বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ও টবগী ইউনিয়নে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ মানুষকে জিম্মি করে স্বার্থ আদায় এবং নানারকম অপরাধমূলক ঘটনা একের পর এক ঘটছেই। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় প্রশাসনের নাকের ডগায় বসেই এসব প্রতারনা করছেন উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের এসব প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
টবগী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ডাক্তার বাড়ির জাকির হোসেন পেশায় একজন মাহিন্দ্রা চালক। তার পুত্র রিয়াদ হোসেন (২৩) মানুষের সাথে প্রতারনা করে বনে গেছেন লাখোপতি। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অনুসন্ধানে জানা গেছে টবগী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে রিয়াদের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে মাদক ও প্রতারনার একটি বিশাল প্রতারক চক্র। এই চক্রের সদস্যরা মাদক বিক্রি ও সেবন করেন। এই চক্রের সদস্যরা সহজ-সরল ও প্রবাসীদের টার্গেট করে তাদের দূর্বলতার খোঁজ খবর নিয়ে তাদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করেন তাদেরকে জ্বিন বাবা ও জ্বিন মা সেজে মোবাইলে ফোন করে কন্ঠস্বর পরিবর্তন করে কথা বলেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের পারিবারিক অশান্তির দূর্বল যায়গায় প্রথমে আঘাত করার মাধ্যমে এই চক্রের প্রতারনা শুরু হয় বলে জানা গেছে। জানাযায়, হাসিনা সরকারের আমলে বরিশালের সাবেক মেয়ার সাদিক আব্দুল্লাহ সহ একাধিক আওয়ামীলীগ নেতাদের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার করতেন এই রিয়াদ।
মুঠোফোনে কল করে নিজেকে ‘জিনের বাদশাহ’ বলে পরিচয় দেন এই চক্রের মুল হোতা রিয়াদ ও পরে ফোন করা ব্যক্তিকে ‘গুপ্তধন’ দেওয়ার কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাঁর স্বামী-সন্তান বা স্ত্রী, বাবা-মা মারা যাবেন এমন ভয়-ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন টাকা হাতিয়ে নেয়। ফোন করা ব্যক্তিকে রিয়াদ জানায় জ্বিনদের কাছে গুপ্তধন রয়েছে, এগুলো জিনের মাধ্যমে উদ্ধার করতে হবে। গুপ্তধনে ১৮টি স্বর্ণমুদ্রা রয়েছে যার অনুমানিক মূল্য ৩৬ লাখ টাকা। এগুলো পেতে হলে আপনাকে আমার কথা মতো চলতে হবে চললে আপনি এই গুপ্তধনের মালিক হ