বার্তা ডেস্ক ॥  উচ্চ আদালতের নির্দেশে পটুয়াখালীর দুমকিতে ’মেসার্স হাওলাদার ব্রিকস্ নামের সেই অবৈধ ইটভাটাটি গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। গতকাল দুপুরে এক্সিকিউটিভ মেজিস্টেট মো.রবিউল ইসলাম পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের টিম ইটভাটাটির আংশিক ধ্বংস এবং বাকি স্থাপনা ১৫ দিনের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদি মৌজার চর এলাকায় বাউফল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বহিষ্কার বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে বগা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান হাওলাদার অবৈধ ইটভাটাটি নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিল।

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে বাউফলের রাজনগর এলাকার জনৈক মো: জাকির হোসাইন ঢাকার হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগের ১৮২২০/২০১৭নম্বরে রিট পিটিশনের আদেশে দুমকি উপজেলার চরগরবদি মৌজায় মেসার্স হাওলাদার ব্রিকস্ অবৈধ ঘোষনা করে তা বন্ধের নির্দেশ দেন। আদালতের ওই নির্দেশ পেয়ে গতকাল জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো.রবিউল ইসলাম'র নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ‘মেসার্স হাওলাদার ব্রিক্সস ভেঙ্গে দেয়। এর আগেও ভ্রামান আদালতের বিশেষ অভিযানে দু’দফায় ওই ইটভাটাটি ভেঙ্গে দিলেও তা ফের চালু করে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল প্রভাবশালী ইটভাটা মালিক পক্ষ। প্রভাবশালী ইটভাটা কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের আদেশ অগ্রাহ্য করে অবৈধ ইটভাটার স্থাপনা না সড়িয়ে বরং দিগুণ উৎসাহে তাদের ইট তৈরী ও পোড়ানোর কাজ চালিয়ে আসছিল। এ বিষয়ে ইট ভাটার স্বত্ত্বাধিকারী বগা ইউপি চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ হাওলাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো.রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা আদালতের আদেশের চিঠি পেয়ে ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ইটভাটা ভেঙ্গে দিয়েছি।