পটুয়াখালীতে পায়রা ১২০০ মেগাওয়াট এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণে সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বরিশালে প্রচারাভিযান চালানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালন করেন পরিবেশকর্মীরা।
যৌথভাবে এ প্রচারাভিযানের আয়োজন করে প্রান্তজন, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডাব্লিউজিইডি)। এসময় এ পাওয়ার প্ল্যান্টকে ‘কার্বন বোমা’ দাবি করে তা নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, পায়রা ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে চালু হলে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ৯৫০ গ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করবে। এটি সম্পূর্ণভাবে চললে বছরে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করবে ১৭৬৯৬৯.৫ টন। আর এর জীবদ্দশায় ৩৮৯৩৩২৮.৮১ টন গ্যাস নির্গত করবে। জীবাশ্ম জ্বালানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে কার্বন নির্গমনের একটি প্রধান প্রভাবক। এর মাধ্যমে জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তন ত্বরান্বিত হচ্ছে। যা বিশ্বব্যাপী সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ হুমকির মুখে ফেলছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় অবিলম্বে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা।
পাওয়ার প্ল্যান্টে গ্যাস সরবরাহের জন্য পায়রা এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে বিদেশি একটি কোম্পানির সঙ্গে ২০২৩ সালে চুক্তি করে সরকার। এ টার্মিনালের সঙ্গে পেট্রোবাংলার ১৫ বছরের চুক্তির অধীনে ২০২৬-২০২৭ সালে ০.৮৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) এবং ২০২৮-২০৪০ সালে ১ এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহ করবে। এসব আয়োজন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে আহ্বান জানানো হয়।
প্রান্তজন-এর নির্বাহী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম শাহাজাদা, পরিবেশকর্মী আসিফ হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ বরকত, মুক্তি মাহমুদ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হেড অফিস: দিলু রোড, নিউ ইস্কাটন, ঢাকা। বরিশাল অফিস: হাবিব ভবন (৪র্থ তলা), সদর রোড, বরিশাল।
মোবাইল: 01742-280498 ইমেইল: dailybarishalsangbad@gmail.com
© বরিশাল সংবাদ || Barisal Sangbad - ২০২৪