বার্তা ডেস্ক ॥ চরফ্যাশনে মো: হারুন (১৭) নামে এক অটোরিকশাচালকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে মিজান (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে চরফ্যাশন থানা পুলিশ। রোববার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার বিকেলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১০)-এর সহায়তায় ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান জেনে তাকে (মিজান) গ্রেফতার করা হয়। চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিজান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে (মিজান)-সহ চারজন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। তারা মূলত ঢাকায় চুরি ছিনতাই করতেন, মাসখানেক আগে এলাকায় এসে চুরির পরিকল্পনা করে, ঘটনার একদিন আগে সুপারি চুরি করে চেয়ারম্যান বাজার এসে বিক্রি করে, পরে হারুনের রিকশা ভাড়া করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আড়াইশ টাকা ভাড়া দিলে তিনি (হারুন) এত কম ভাড়া নিতে না চাইলে, পরের দিন তার রিকশায় ১ হাজার টাকা ভাড়ায় ঘুরবে বলে তাকে আশ্বস্ত করে। পরে কথামতো ঘটনার দিন বিকেলে তার (হারুন) রিকশায় ঘুরতে বের হন তারা (খুনি)। ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে রাত গভীর হলে মাদ্রাজ ইউনিয়নের মেঘনা নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধ এলাকায় রিকশা রেখে পাশে বসে গল্প করে, এ সময় তাদের একজন হারুনের কাছ থেকে তার মোবাইল নিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পর তিনি (হারুন) তার মোবাইল ফেরত চাইলে দেই দিচ্ছি বলে সময় নষ্ট করে। এ সময় হারুনের সাথে তাদের (খুনি) তর্ক হয়। এর কিছুক্ষণ পর গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হারুনের গলায় খুনিদের একজন পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় হারুন জীবন বাঁচাতে দৌড় দিলে তাকে ধরে মাটিতে ফেলে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করে রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ দিকে, সকালে বিষয়টি চারদিকে জানাজানি হলে তারা (খুনি) রিকশাটি পাশের লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জে রাস্তা পাশে ফেলে রেখে রাজধানীতে গিয়ে গা ঢাকা দেয়।

উল্লেখ্য, বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের হামিদপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে হারুনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে চরফ্যাশন থানা পুলিশ। ঘটনার দিন হারুনের বাবা মোনাফ অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পরের দিন রমাগঞ্জে রাস্তার পাশে পরে থাকা অবস্থায় ছিনতাই হওয়া রিকশাটি উদ্ধার করে পুলিশ।