ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। অনেক স্থানে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। এছাড়াও বেড়েছে নদ-নদীর পানি।
নিরাপদ প্রজনন ও মা ইলিশ রক্ষার লক্ষ্যে নদী ও সাগরে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় গভীরে অবস্থানরত অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার তীরে রয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অফিস।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম আবহাওয়া বার্তা শুনে আবারও দুশ্চিন্তায় কপালে ভাজ পড়েছে সাগর পাড়ের মানুষের মাঝে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা উপকূলে আঘাত হেনেছিল। ২০১৭ সালের ৩০ মে ঘূর্ণিঝড় মোরা, ২০১৯ সালের ২ মে ফণী, ২০২০ সালের ১৮ মে আফান, ২০২১ সালের ২৬ মে ইয়াস, ২০২২ সালের ৭ মে অশনি একই বছরে সিত্রাং এবং ২০২৩ সালের ১৪ মোখা আঘাত হেনেছিল।
এছাড়াও সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রেমাল’র ক্ষতি উপকূলের মানুষ এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। নিজেদের রক্ষা করতে পারলেও বসতঘর, ফসলি জমি, গবাদি পশু, মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এবার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। তাই উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে সাগর পাড়ের মানুষ। আবারও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় দানা’য় রূপান্তরিত হলেও এর প্রভাবের সম্ভাবনা নেই কলাপাড়ায়। স্বাভাবিক রয়েছে পায়রা বন্দরের কার্যক্রম। যদিও আবহাওয়া অফিস পায়রা বন্দরে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে পায়রা সমুন্দ্র বন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ঝড় আসবে এ আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে কলাপাড়ার উপজেলার নীলগঞ্জ ও ধানখালী ইউনিয়নের অন্তত ১৫ টি গ্রামের মানুষ। এই দুই ইউনিয়নে বাঁধ ভাঙ্গা অবস্থায় থাকায় ঝড়ে পানির উচ্চতা বাড়লে ওইসব গ্রামের মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
এছাড়াও আশঙ্কায় রয়েছে কৃষকরাও। ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে বুধবার সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকায় বিরাজ করছে গুমোট পরিবেশ। কালো মেঘে ঢেকে আছে কলাপাড়া ও কুয়াকাটার আকাশ।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিওনের দায়িত্বরত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। তাই ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন।
হেড অফিস: দিলু রোড, নিউ ইস্কাটন, ঢাকা। বরিশাল অফিস: হাবিব ভবন (৪র্থ তলা), সদর রোড, বরিশাল।
মোবাইল: 01742-280498 ইমেইল: dailybarishalsangbad@gmail.com
© বরিশাল সংবাদ || Barisal Sangbad - ২০২৪