পিরোজপুরের কাউখালীতে কৃষি কাজ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে এক যুবক। তিনি বাবার অনাবাদি জমি আবাদে আওতায় এনে পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।বলেছিলাম বরিশাল বিএম কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্র কৃষি উদ্যোক্তা অমিত মন্ডলের (২২) কথা। তিনি উপজেলার চিড়াপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের বেকুটিয়া গ্রামের অমল কৃষ্ণ মন্ডলের ছেলে।

জানা গেছে, কাউখালী উপজেলা কৃষি অফিসের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় অমিত লেখাপড়ার পাশাপাশি কৃষি কাজে মনোযোগ দিয়ে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন। অমিত মন্ডল এ বছর ১০ শতাংশ জমিতে চার হাজার টাকা খরচ করে করলা চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত করলা বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করেছেন। গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত করলা বিক্রি করে আরো টাকা উপার্জন করতে পারবে। ৪০ শতাংশ জমিতে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে শসার চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ মণ শসা ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। আরো প্রায় ৭০ মণ শসা বিক্রি করতে পারবেন বলে অমিত মন্ডল আশা প্রকাশ করেন।

এই তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা অমিত মন্ডল করলা, শসা, লাউ, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি সারা বছরই চাষ করে নিজেকে স্বাবলম্বী হওয়াসহ বাজারে কৃষি পণ্য সরবরাহ করে থাকে।

কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোম রানি দাস বলেন, ‘আমরা কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করে থাকি। অফিস থেকে ভালো জাতের বীজ ও সার দেয়া হয়। প্রত্যেকটি ব্লকে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শসহ বিভিন্ন সরকারি প্রণোদনা দিয়ে থাকে।’

সরজমিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা তার বিভিন্ন ধরনের কৃষি খামার পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।