বরিশাল (সংশোধিত) র্যাব-৮ এর সদস্যদের হাতে বিপুল পরিমানে জাল টাকার নোট ও ছাপানোর সরঞ্জামসহ দুই যুবককে আটক।
মঙ্গলবার (৭ মে) বরিশাল (সংশোধিত) মেট্রোপলিটনের বন্দর থানাধীন কর্নকাঠী ও চরকাউয়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে আটক করেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব- ৮ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান।
আটককৃতরা হলো-বরিশাল (সংশোধিত) মেট্রোপলিটনের বন্দর থানাধীন চরকাউয়া এলাকার লাল মিয়ার ছেলে মিজান হাওলাদার (১৯) ও ঝালকাঠির রাজাপুর থানার লেবুবুনিয়া এলাকার ফরিদ হোসেনের ছেলে নাঈম হোসেন (২৫)
র্যাবের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, কর্নকাঠি গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন সড়কে জাল টাকার নোট ক্রয়-বিক্রয়ের সংবাদে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌছলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মিজান হাওলাদার ও নাঈম হোসেন পালানোর চেষ্টা করে। এসময় র্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানায়, সে নগদ ২০ হাজার টাকায় ১ লাখ জাল টাকার নোট নাঈমের কাছে বিক্রির জন্য ঘটনাস্থলে আসে। এরপর মিজানের সাথে থাকা স্কুল ব্যাগ থেকে ১ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
জাল নোট উদ্ধারের পর মিজান হাওলাদার জানায়, সে নিজ বাড়িতে জাল টাকা উৎপাদন করেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বন্দর থানাধীন চরকাউয়া গ্রামে মিজানের ঘরে অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা।
ওই অভিযানে আরও ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকার জাল নোট উদ্ধারের পাশাপাশি জাল টাকা ছাপানোর কাজে ব্যবহৃত একটি প্রিন্টার, একটি ল্যাপটপ, চার বোতল প্রিন্টারের কালি, একটি মডেম, তিন প্রকার আঠার কৌটা, কয়েকটি ক্যাবলসহ কয়েক প্রকার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বরিশাল (সংশোধিত) মেট্রোপলিটনের বন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply