রুপন কর অজিত: বরিশাল (সংশোধিত) নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে জমি দখল করতে গিয়ে জনতার প্রতিরোধে পিছু হটতে হয়েছে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তিন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে—এমন অভিযোগ ঘিরে বরিশাল (সংশোধিত)ের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ঘটনার পর মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন এক কঠোর বার্তা দিয়ে বলেছেন,“দলের কেউ যদি বেআইনি কাজে যুক্ত থাকেন, তদন্ত করে প্রমাণ মিললে ছাড় দেওয়া হবে না।” আর এই বক্তব্যকে ঘিরেই বর্তমানে দলের ভিতরে ও বাইরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন তিনি।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহানগর কলেজ সংলগ্ন হরিপাশা বিলে জমি দখলের চেষ্টাকালে স্থানীয় জনতারা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন খান, মাহফুজুর রহমান খান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের (স্থগিত) আহ্বায়ক মশিউর রহমান মঞ্জুকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। তাদের সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খান মামুন, যিনি বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মেহেদি হাসান বিমানবন্দর থানায় এদের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আর ঘটনার পরপরই দলের অন্যান্য নেতারা নীরব থাকলেও জ্যেষ্ঠ নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, “ভুক্তভোগীরা যদি লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকেন, আমরা তা যাচাই করব। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডকে অবহিত করা হবে। বিএনপি গায়ের জোরে জমি দখলের রাজনীতি করে না।”
তার এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, বিএনপি এই ঘটনায় দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছে না।
অন্যদিকে বিএনপির তিন নেতা একযোগে দাবি করেছেন, তারা ঘটনাস্থলে যাননি এবং পুরো ঘটনা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এবিষয়ে জসিম উদ্দিন খান বলেন, “আমি সেখানে ছিলাম না।”আর মাহফুজ বলেন, “ওই জমি স্থানীয় মাসুদের বলে শুনেছি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।” এবং মঞ্জু বলেন, “আমি কোনো দখলচেষ্টার সঙ্গে জড়িত না।”
ছাত্রদলের সহসভাপতি আশিক হাওলাদার জানান, “শওকত হোসেনের সঙ্গে জমির বিরোধ থাকলেও বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু ফেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।”
আফরোজা খানম নাসরিনের এই কঠোর অবস্থান বিএনপির সাংগঠনিক ভাবমূর্তি রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দলের অন্যান্য নেতারা যেখানে বক্তব্য এড়িয়ে যাচ্ছেন, সেখানে নাসরিন দৃঢ়ভাবে বলছেন:“ব্যক্তিগত স্বার্থে দলের নাম ব্যবহার করে কেউ ফায়দা লুটতে পারবে না।”
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply