বরিশাল (সংশোধিত) জেলার মুলাদী উপজেলায় বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে এক স্কুল ছাত্রী কিশোর গ্যাংয়ের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের কায়েতমারা এলাকায় মোল্লা বাড়ি এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। কিশোর গ্যাং ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করে এবং মামলা করলে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ঘটনার পর এলাকার একটি মহল স্থানীয়ভাবে ‘সমঝোতার’ আশ্বাস দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলায় বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে, অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর অভিভাবকেরা জানান, ওই ছাত্রী চলতি বছর মুলাদী উপজেলার একটি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে সে পার্শ্ববর্তী সোনামদ্দিন বন্দরে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যায়। বিকেলে বাজার থেকে ফেরার পথে সফিপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের মোতাহার সরদারের ছেলে সাকিব (২১) ও হাবিব সিকদারের ছেলে আরিফ সিকদারের নেতৃত্বে একদল কিশোর ওই ছাত্রীর পথরোধ করে। পরে ওই দলটি তাকে পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং একজন ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিওচিত্র ছাত্রীকে দেখিয়ে থানা পুলিশ কিংবা কাউকে না জানানোর হুমকি দেন তারা।
তবে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক কিশোর সোনামদ্দিন বন্দরে অন্য একজনকে ভিডিও দেখালে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। পরে ছাত্রীর অভিভাবকের এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় প্রভাবশালী সুলতান ব্যাপারী ও মতিউর রহমান ওরফে মতি ব্যাপারী সালিশের মাধ্যমে সমাধানের জন্য চাপ দেন। তারা ওই ছাত্রী সোনামদ্দিন বন্দরে যে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলো তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. রাশেদ ব্যাপারী জানান, স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের বিষয়টি শুনেছি। ভুক্তভোগীর অভিভাবকদের থানায় মামলার করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তরা ইতোমধ্যে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল আলম বলেন, ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি আমার জানা নেই এবং এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply