বরিশাল (সংশোধিত) নগরীর ৩নং ওয়ার্ড কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় এক কিশোরীকে (১৭) ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরিকল্পিতভাবে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার পাঁচজনের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা ফরিদা বেগম। থানা সুত্রে জানাযায়, অভিযোগ পাওয়া পরপরই কাউনিয়া থানার ওসির নির্দেশে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজন নারীসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে প্রধান আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
আসামীরা হলেন- একই এলাকার শাহজাহান হাওলাদারের পুত্র শামীম হাওলাদার (৪৫) ও আসাদ হাওলাদার (৪০), মৃত শাহাদাত আলী হাওলাদার পুত্র বাবুল হাওলাদার (৪৫), পিতা: মৃত উপেন্দ্র দেবনাথের পুত্র সঞ্জয় দেবনাথ সজীব (৪০) ও বশার মোল্লার স্ত্রী সালমা বেগম (৪০)।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়, ভুক্তভোগীর মা ফরিদা বেগম (৪০) কাউনিয়া হাউজিং এলাকার বাসিন্দা। চিকিৎসার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাসার বাইরে ছিলেন। এই সুযোগে এলাকার কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার মেয়েকে খাবারের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে অচেতন করে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, ২নং আসামি বাবুল প্রথমে কিশোরীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে তার ঘরে নেয় এবং ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় শামীম,বাবুল, সজীব পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ১নং আসামি শামীম ও ৪নং আসামি সালমার সহযোগিতায় মেয়েটিকে সালমার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে পুনরায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া পূর্বেও কিশোরীকে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে একইভাবে নির্যাতেন চালাতেন আসামীরা।
সর্বশেষ ঘটনা ঘটে ২৪ এপ্রিল রাতে, যখন বাবুল হাওলাদারের ঘরে মেয়েটিকে আবারও অচেতন করে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনা জানাজানির পর ৫নং আসামি আসাদ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তদের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর মা ফরিদা বেগম কাউনিয়া থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গত শুক্রবার একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল নিশাত বরিশাল (সংশোধিত) সংবাদকে জানান, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই দ্রুত অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অভিযুক্ত এক নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মামলার প্রধান আসামি শামিম এখনও পলাতক রয়েছেন। তিনি আরো জানান, পলাতক আসামীকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা ভিকটিমের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
অন্যদিকে ঘটনার পর কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ও গুন্জন শুরু হয়। এ বিষয়ে বরিশাল (সংশোধিত) সংবাদের অনুসন্ধানি টিম মাঠে কাজ করছে। খুব শীঘ্রই এই ঘটনায় “বিশেষ অনুসন্ধান – দ্বিতীয় পর্ব” প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন অনুসন্ধানি টিম ইনচার্জ ।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply