স্ত্রীকে তালাক দিয়ে গোপন রেখে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন এক নারী। অভিযুক্ত ব্যক্তি পিরোজপুর জেলা আনসার ভিডিপি অফিসে কর্মরত মাহবুবুর রহমান (৩২)। তিনি বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার তালুকদার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করেন এবং আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ২০১২ সালে মাহবুবুরের সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং তাদের ৯ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী পিরোজপুরে কর্মরত থাকায় সেখানে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন মাহবুবুর। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার পর, চলতি মাসের ৬ এপ্রিল মাহবুবুর স্ত্রীকে তালাক দেন, তবে তা গোপন রাখেন। ১১ এপ্রিল তিনি আমতলীতে স্ত্রীর বাড়িতে এসে আপসের কথা বলে রাত যাপন করেন এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ১৫ এপ্রিল তালাকের কপি মেসেঞ্জারে পাঠালে স্ত্রী জানতে পারেন ৬ এপ্রিলই তালাক দেয়া হয়েছিল।
ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্য, “আমি ভেবেছিলাম সে ফিরে এসেছে, সম্পর্ক ঠিক করতে চায়। কিন্তু পরে বুঝি সে জেনেশুনেই তালাক গোপন রেখে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।”
এ বিষয়ে আসামি মাহবুবুর রহমানের ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, “আদালতের নির্দেশ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply