দুমকী-বাউফল-দশমিনা-গলাচিপা আঞ্চলিক মহাসড়কে সেতু না থাকায় লোহালিয়া নদী পার হতে ফেরির ওপর নির্ভরতা, বাড়ছে যানজট ও ভোগান্তি
পটুয়াখালীর বাউফলের লোহালিয়া নদীর ওপর একটি সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা—এই তিন উপজেলার বাসিন্দারা। দুমকী-বাউফল-দশমিনা-গলাচিপা আঞ্চলিক মহাসড়কে লোহালিয়া নদীর অংশে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বহুবার এলেও, বাস্তবায়ন হয়নি।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাউফলের বগা এলাকায় একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। অথচ এ সড়কটি দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে বিবেচিত, যার মাধ্যমে কুয়াকাটা-পটুয়াখালী-ঢাকা মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হয়েছে।
বর্তমানে আঞ্চলিক এই ৮৬ কিলোমিটার সড়কের মাঝামাঝি বগা ইউনিয়নের লোহালিয়া নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু রয়েছে। প্রতিদিন শত শত পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, বাস, অ্যাম্বুলেন্স ও সাধারণ যাত্রী এই ফেরির মাধ্যমে নদী পার হন। এতে করে প্রায়ই যানজট ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানান, লোহালিয়া নদীতে সেতু না থাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বগা বন্দরের ব্যবসায়ী সমির বণিক বলেন, “পূর্বে লঞ্চে মাল আনতে হত, এখন ট্রাকে আনলেও ফেরির কারণে ভোগান্তি কাটছে না। সেতু হলে সরাসরি বন্দর পর্যন্ত মাল আনতে পারব।”
একই দাবি জানিয়ে ট্রাকচালক খলিলুর রহমান বলেন, “বড় বড় নদীতেও সেতু হয়েছে। কিন্তু এখানে আমরা এখনো ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরির জন্য বসে থাকি।”
বাউফলের এনামুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান খান বলেন, “সেতুটি হলে বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপার লাখো মানুষের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত হবে।”
এছাড়া স্থানীয় কৃষক আরোজ আলী, ব্যাংক কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরাও জানান, এই সেতু শুধু যোগাযোগই নয়, পুরো অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য জরুরি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার জানান, “২০২১ সালে চীনের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষ হয়েছে। এখন জমি অধিগ্রহণ ও বাজেট প্রাক্কলন চলছে। এরপর দ্রুত ডিপিপি (Development Project Proposal) তৈরি করে কাজ শুরু হবে।”
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply