বরিশাল (সংশোধিত) সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনরায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম দাবি জানিয়েছেন, মুফতি মুহম্মদ ফয়জুল করীমকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “২০২৩ সালের জুনে অনুষ্ঠিত বরিশাল (সংশোধিত) সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল পতিত ফ্যাসিবাদের একটি জঘন্য মহড়া। সেই নির্বাচনে জনরায়কে পদদলিত করে ভোট জালিয়াতির নগ্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “বরিশাল (সংশোধিত) সিটি নির্বাচন একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও সেখানে ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রভাব খাটানো হয়েছে। এমনকি তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এক মন্তব্য থেকেই প্রমাণ মেলে কতটা নির্মম ও নৃশংসভাবে এই প্রহসনমূলক নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে।”

রেজাউল করীম বলেন, “নির্বাচনের দিন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ ও ভালোবাসা চোখে পড়ার মতো ছিল। ভোটকেন্দ্র থেকে হাতপাখার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া এবং জালিয়াতির মাধ্যমে ফল উল্টে দেওয়ার পরও হাতপাখায় যে বিপুল ভোট পড়েছে, তা থেকেই স্পষ্ট— প্রকৃত বিজয়ী ছিলেন মুফতি ফয়জুল করীম।”

তিনি আরও দাবি করেন, “জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানে ইসলামী আন্দোলন এবং মুফতি ফয়জুল করীম যে সাহসিকতা ও ভূমিকা রেখেছেন, তার যথার্থ মূল্যায়ন হওয়া উচিত ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তা হয়নি। বরং জনগণের রায়ের মর্যাদা দিতে না পেরে তাকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।”

বিবৃতির শেষদিকে তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, কালবিলম্ব না করে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বরিশাল (সংশোধিত) সিটি করপোরেশনে জনতার রায় বাস্তবায়ন করা হবে এবং মুফতি ফয়জুল করীমকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হবে।”