বরিশাল (সংশোধিত) নগরীর কাউনিয়া এলাকায় প্রশাসনের মাদকবিরোধী অভিযানের মাঝেও রমরমিয়ে চলছে মাদক ব্যবসা। ভাঙ্গারি দোকানের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও গাঁজার কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন মুন্নি ও হানিফ দম্পতি। দম্পতির দাপটে পুরো এলাকার পরিবেশ আজ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই দম্পতির বিরুদ্ধে একাধিকবার থানায় অভিযোগ করা হলেও বাস্তব কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং পুলিশ ও কিছু প্রভাবশালীর মদদে বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে তারা। এলাকাবাসী জানান, বিক্রির জন্য কারবারিদের মাদক সরবরাহেও জড়িত রয়েছে পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য।
মাদক ব্যবসার স্পটটি শহীদ আরজু মনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঠিক উল্টোপাশে হওয়ায় শিক্ষার্থীরাও এর ভয়াবহ প্রভাবে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকাল-সন্ধ্যা মাদকসেবীদের উৎপাত এত বেড়েছে যে, নারীরা রাস্তায় বের হতেও আতঙ্কে ভোগেন।
তদন্তে জানা গেছে, মুন্নি-হানিফ শুধু মাদক নয়, চোরাই রিকশা ও ব্যাটারি কেনাবেচাতেও জড়িত। কিছুদিন আগে চোরাই অটো কিনে ধরা পড়লেও পুলিশ প্রশাসনের কিছু অসাধু সদস্যের সহযোগিতায় তারা পার পেয়ে যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যেকোনো সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও রহস্যজনক কারণে তা থমকে যায়।
মাদক ব্যবসা বন্ধের দাবিতে একাধিকবার প্রতিবাদ করলেও ফল মেলেনি। কিছুদিন আগে এলাকাবাসী নিজেরাই দম্পতিকে উচ্ছেদ করলেও, রাজনৈতিক মদদে আবারো তারা এলাকায় ফিরে এসে ব্যবসা শুরু করেছে। স্থানীয় যুব সমাজ এখন একত্রিত হয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বরিশাল (সংশোধিত) মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) সুশান্ত সরকার বলেন, “মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা বাকি আছে তাদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
অন্যদিকে কাউনিয়ার সাধারণ মানুষ এখন প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি জানিয়েছে— মুন্নি-হানিফ দম্পতিসহ সকল মাদক কারবারিদের দ্রুত গ্রেফতার করে এলাকাকে মাদক মুক্ত করা হোক। না হলে আগামী দিনে এলাকাবাসী বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যেতে বাধ্য হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply