এই ঘোষণার পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ “Linkers in Barishal University”-তে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। অনেকে একে “অযৌক্তিক” এবং “শিক্ষাবিরোধী” বলে আখ্যায়িত করেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল (সংশোধিত) মহানগর শাখার আহ্বায়ক সাহেদুল ইসলাম সাহেদ এক ফেসবুক পোস্টে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও মিডটার্ম পরীক্ষা বর্জনের আহ্বান জানালে সেখানে শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান।
মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “কমপ্লিট শাটডাউনের মতো পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। এটি শুধু সেশনজটে ভুগতে থাকা শিক্ষার্থীদের সমস্যাকে আরও প্রকট করবে। তাদের উচিত গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান আল-আমিন বলেন,
“এই ধরনের শাটডাউন অযৌক্তিক এবং শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত করবে।”
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী শীফতি রায়ান রাইসা বলেন, “আমি এই শাটডাউনের সঙ্গে একমত নই। অনেক বিভাগের পরীক্ষা সামনে, কিছু বিভাগ অনেক পিছিয়ে আছে। আন্দোলন করতেই পারে, কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষতি যেন না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।”
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী এসএফ শাওন সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে লেখেন, “ভিসি থাকলো না গেলো – এটি আমাদের মূল সমস্যা নয়। কিন্তু শিক্ষাকার্যক্রমে কেন বাধা আসবে? এর দায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর কেন চাপবে?”
তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply